ঢাকা, বুধবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

জলবায়ু ও পরিবেশ

দেশের জনগণ নদীর প্রতি দৃষ্টি দিয়েছে: প্রতিমন্ত্রী

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১০৮ ঘণ্টা, জুন ২৮, ২০১৯
দেশের জনগণ নদীর প্রতি দৃষ্টি দিয়েছে: প্রতিমন্ত্রী ‘বাংলাদেশ-ভারত নৌ যোগাযোগ: সম্ভাবনা ও করণীয়’ শীর্ষক সংলাপে অতিথিরা। ছবি: ডিএইচ বাদল

ঢাকা: দেশের জনগণ নদীর প্রতি দৃষ্টি দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।

বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর আহমেদ চৌধুরী হলে ইন্ডিয়ান মিডিয়া করেসপন্ডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ (ইমক্যাব) আয়োজিত ‘বাংলাদেশ-ভারত নৌ যোগাযোগ: সম্ভাবনা ও করণীয়’ শীর্ষক সংলাপে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, গত ছয় মাসে দেশের জনগণ নদীর প্রতি দৃষ্টি দিয়েছে।

মন্ত্রণালয়ে মেইল, চিঠিপত্র আসছে। যেসব জায়গায় নদী ছিল, এখন নদীর চিহ্ন হারিয়ে গেছে এমন এলাকার মানুষজন আমাদের জানাচ্ছেন। ডাকছেন নদী উদ্ধারের জন্য। নদী নিয়ে যে জনসচেতনতা তৈরি হয়েছে এটাই আমাদের প্রাপ্তি।

তিনি আরো বলেন, ভারতের সঙ্গে আমাদের বাণিজ্যিক যোগাযোগ অনেক ভালো। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঢাকা-কলকাতা বাস, ট্রেন সার্ভিস চালু হয়েছিল, এখন নৌ যোগাযোগ চালু হয়েছে। ভারত-বাংলাদেশের বন্ধুত্ব রক্ত দিয়ে লেখা। বন্ধুত্ব নষ্ট করার জন্য অনেক চেষ্টা করা হয়েছে, কেউ নষ্ট করতে পারে নাই, পারবেও না। আমরা যদি মুক্তিযুদ্ধের চেতনা লালন করি তাহলে সমস্যা হবে না।

খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ভারতের অনেক স্বার্থ আছে। ভারত একটি বড় দেশ, অবশ্যই স্বার্থ থাকতে পারে। এখানে দু’দেশের স্বার্থ সমান গুরুত্ব দিতে হবে। আমাদের স্বার্থ যদি ভারত না দেখে তাহলে তারাই ক্ষতিগ্রস্ত হব। আর যদি আমরা ভারতের স্বার্থ না দেখি তাহলে আমরাও ক্ষতিগ্রস্ত হব। কাজেই দুই দেশের স্বার্থ নিয়ে আলোচনা চলছে। আমাদের নৌপথ তৈরির জন্য ভারত সহযোগিতা করছে।

তিস্তা চুক্তির কথা উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, পানি নিয়ে বাংলাদেশ যে সমস্যায় আছে তার চেয়েও বেশি সমস্যায় আছে ভারত। মুজিব-ইন্দিরা চুক্তির আলোকে আমরা চললে পানি নিয়ে কোনো ধরনের সমস্যা হতো না। দুঃখজনক হলেও সত্য এই চুক্তি নিয়ে রাজনীতি করা হয়েছে। যারা রাজনীতি করেছেন তারা কিন্তু চুক্তি বাতিল করে নাই।

আয়োজক সংগঠনের সভাপতি বাসুদেব ধরের সভাপতিত্বে সংলাপে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী, প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ওমর ফারুক প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ২১০৬ ঘণ্টা, জুন ২৭, ২০১৯
এমএমআই/এইচএডি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।