ঢাকা: বৃষ্টিপাতের প্রবণতা কমায় সিলেটে বন্যা পরিস্থিতি উন্নতির আভাস রয়েছে। তবে সাত জেলায় এখনো বন্যার আশঙ্কা কাটেনি।
বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) এমন তথ্য জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র।
পাউবো জানিয়েছে, কুশিয়ারা নদী অমলশিদ (সিলেট) পয়েন্টে বিপৎসীমার ৭৮ সেন্টিমিটার ও ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে বিপৎসীমার ০১ সেন্টিমিটার এবং সুরমা নদী কানাইঘাট (সিলেট) পয়েন্টে বিপৎসীমার ০৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
সুরমা ও কুশিয়ারা নদীসমূহের পানি সমতল আগামী ২৪ ঘণ্টা স্থিতিশীল থাকতে পারে এবং বিপৎসীমার ওপরে থাকতে পারে। এ সময়ে সিলেট, সুনামগঞ্জ ও মৌলভীবাজার জেলার উক্ত নদীসংলগ্ন নিম্নাঞ্চলসমূহে বিরাজমান বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে। তবে পরবর্তী দ্বিতীয় দিন পানি সমতল হ্রাস পেতে পারে।
এদিকে রংপুর বিভাগের তিস্তা, ধরলা ও দুধকুমার নদীসমূহের পানি সমতল আগামী ২৪ ঘণ্টা বাড়তে পারে। এ সময়ে তিস্তা ও দুধকুমার নদীসমূহ বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে এবং ধরলা নদী সতর্কসীমায় প্রবাহিত হতে পারে। এ সময়ে লালমনিরহাট, নীলফামারী, রংপুর, কুড়িগ্রাম জেলার উক্ত নদীসংলগ্ন নিম্নাঞ্চলসমূহ প্লাবিত হতে পারে। তবে পানি সমতল দ্বিতীয় ও তৃতীয় দিন কমতে পারে।
সিলেট ও ময়মনসিংহ বিভাগের সোমেশ্বরী, সারিগোয়াইন, যাদুকাটা, ভোগাই, কংস ও জিঞ্জিরাম নদীসমূহের পানি সমতল আগামী একদিন বাড়তে পারে এবং সিলেট, ময়মনসিংহ, নেত্রকোণা ও শেরপুর জেলাসমূহে নদীসমূহ সতর্কসীমায় প্রবাহিত হতে পারে। তবে দ্বিতীয় দিন নদীসমূহের পানি সমতল স্থিতিশীল থাকতে পারে এবং তৃতীয় দিন পানি সমতল কমতে পারে।
ইইউডি/আরআইএস