ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

জলবায়ু ও পরিবেশ

প্রাণীরাও সানস্ক্রিন ব্যবহার করে!

জীববৈচিত্র্য ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৫৭ ঘণ্টা, আগস্ট ২৭, ২০১৫
প্রাণীরাও সানস্ক্রিন ব্যবহার করে!

ঢাকা: সমুদ্রের কাছে যাওয়ার উচ্ছ্বাসে অনেকেই সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে ভুলে যান। ফলাফলে যেটা হয়, শরীর পুড়ে সৌন্দর্য নষ্ট।



প্রশ্ন আসতে পারে, প্রাণীদের ক্ষেত্রে মাছ থেকে শুরু করে জলহস্তী, তাদেরও তো সানস্ক্রিন ব্যবহারের কথা মনে থাকে না!

শুনতে অবাক লাগলেও সম্প্রতি বেশ কয়েকজন পাঠক একটি জার্নালে বিশেষজ্ঞদের উদ্দেশে এমন প্রশ্ন ছুড়ে দেন।

উত্তরে বিশেষজ্ঞরা বলেন, প্রাণীরাও সানস্ক্রিন ব্যবহার করে। গবেষণায় এমন তথ্যই উঠে এসেছে।

সানস্ক্রিন জিন
গবেষণাটিতে নেতৃত্ব দেন ওরেগন স্টেট ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক তাইফো মাহমুদ।

তিনি বলেন, কিছু মাছ, পাখি, উভচর এবং সরীসৃপের শরীরে এমন জিন রয়েছে, যা গাডুসোল (সাইক্লোহেকজানিস থেকে পাওয়া মনোহাইড্রক্সি ক্যামফোরের মতো এক ধরনের উপাদান পাওয়া যায়, যার বৈজ্ঞানিক পরিচয় ‘আর-সি৬এইচ১১০’। সাবান, কীটনাশক ইত্যাদি তৈরিতে এটা ব্যবহার করা হয়) উৎপাদন করে, যা নির্দিষ্টভাবে সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি-খ (শর্ট ওয়েভ)-এর ক্ষতি থেকে বাঁচায় এবং তাপ থেকেও মুক্তি দেয়।

মাছের মধ্যে জেব্রাফিশ সানস্ক্রিন উৎপাদন করে থাকে। এ মাছ নিয়ে গবেষণা করা হলে মানুষের জন্য আরো উপযোগী সানস্ক্রিন তৈরি করা সম্ভব হবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

এর আগে গবেষণাগারে জেব্রাফিশের জিন পরীক্ষা করে দেখা গেছে, এটি গাডুসোল উৎপাদন করে, যা সানস্ক্রিনের মতোই কাজ করে।

ঘাম বন্ধ রাখা
অন্যান্য প্রাণীরাও তাদের মতো করে সানস্ক্রিন (এসপিএফ) উৎপাদন করে। যেমন, জলহস্তীর ঘামের সঙ্গে প্রাকৃতিক লাল এবং কমলা রঙের উপাদান নিঃসরণ হয়।

২০০৪ সালের একটি গবেষণায় দেখা গেছে, লাল রঙের উপাদানের সঙ্গে এক ধরনের অ্যান্টিবায়োটিক নিঃসরণ হয়। আর কমলা রঙের উপাদান সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি শোষণ করে। ফলে, আফ্রিকান জন্তুগুলো একদিকে যেমন সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি থেকে রক্ষা পায়, অন্যদিকে সংক্রমণমুক্তও থাকে।

ম্যানটিস চিংড়ি মাছও তার চোখ থেকে অ্যামিনো অ্যাসিড পিগমেন্ট নিঃসরণ করে যা, ‘ন্যাচারাল সানস্ক্রিন’ হিসেবে পরিচিত। তবে এটি আরো কিছু কাজ করে। সানস্ক্রিনের পাশাপাশি এটি ফিল্টারের কাজও করে থাকে।

অন্যান্য প্রাণীর ক্ষেত্রেও গাডুসোল একাধিক কাজ করে বলে দাবি করেছেন, গবেষণা সহকারী একই বিশ্ববিদ্যালয়ের মলিক্যুলার টক্সিকোলজি বিভাগের অধ্যাপক রবার্ট ট্যাঙ্গুয়ে।

তিনি আরো যোগ করেন, পশ্চিম আফ্রিকার লাঙফিশ সানস্ক্রিন ব্যবহার না করলেও তারা জানে কীভাবে শীতল থাকতে হয়। গ্রীষ্মকালে কাদার ভেতরে যাওয়ার আগে এরা নিজেদের বিশেষ কৌশলে আবৃত করে ফেলে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৭ ঘণ্টা, আগস্ট ২৭, ২০১৫
এটি/এবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।