ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

বইমেলা

নবম দিনে ১২৫ নতুন বই

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৫১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৯, ২০১৭
নবম দিনে ১২৫ নতুন বই নবম দিনে ১২৫ নতুন বই / ছবি: দেলোয়ার হোসেন বাদল

গ্রন্থমেলা থেকে: অমর একুশে গ্রন্থমেলার নবম দিনে নতুন বই এসেছে ১২৫টি এবং ১৯টি নতুন বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করা হয়।  

এর মধ্যে গল্পের বই রয়েছে ২৪টি, উপন্যাস ২৭টি, প্রবন্ধ ৭টি, কবিতা ২৮টি, গবেষণাগ্রন্থ ২টি, ছড়ার বই ৫টি, ভ্রমণের বই ১টি, ইতিহাসের ২টি, চিকিৎসার বই ২টি, শিশুসাহিত্য ১টি, জীবনী ৩টি, মুক্তিযুদ্ধের বই ২টি, সায়েন্স ফিকশন ১টি, নাটকের বই ২টি, বিজ্ঞানের বই ১টি এবং অন্যান্য ১৭টি।

বিকেলে গ্রন্থমেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় ‘বাংলা ভাষায় ইতিহাস চর্চা’ শীর্ষক আলোচনা সভা।

সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন অধ্যাপক ড. মো. মাহবুবুর রহমান। আলোচনায় অংশ নেন অধ্যাপক মেসবাহ কামাল এবং ড. আশফাক হোসেন।

ইতিহাসবিদ অধ্যাপক মুনতাসীর মামুনের সভাপতিত্বে প্রবন্ধ উপস্থাপন করে প্রাবন্ধিক বলেন, ‘বাংলা ভাষায় ইতিহাস চর্চা বিচিত্রমুখী ও বহুব্যাপ্ত। ইতিহাসের বিভিন্ন বাঁক নিয়ে বাংলা ভাষায় ইতিহাস চর্চা অব্যাহত আছে। প্রাচীন, মধ্য ও আধুনিক যুগের ইতিহাস চর্চার ধারাবাহিকতায় ব্রিটিশবিরোধী স্বাধীনতা সংগ্রাম, ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধ আমাদের ইতিহাস চর্চার নতুন অভিমুখ তৈরি করেছে’।

‘পাশাপাশি স্থানীয় ইতিহাস চর্চাও সামগ্রিক ইতিহাস গবেষণার ধারায় একটি গুরুত্বপূর্ণ সংযোজন’।

বক্তারা বলেন, ‘স্বচ্ছ ইতিহাস চেতনা ছাড়া মুক্তচিন্তার সমাজ গঠন সম্ভব নয়। আমাদের ইতিহাস চর্চায় নিরত গবেষকরা এ বিষয়ে তাদের মেধা মনন ও শ্রমশীলতার স্বাক্ষর রেখেছেন। এক সময়ে বাংলা ভাষায় উচ্চতর ইতিহাস গবেষণা দুর্লভ হলেও সাম্প্রতিক সময়ে মাতৃভাষায় ইতিহাস চর্চায় গবেষকেরা বিশেষ মনোযোগী হয়েছেন, যা আমাদের আশাবাদী করে তোলে’।

সভাপতির বক্তব্যে অধ্যপক মুনতাসীর মামুন বলেন, ‘বাংলা ভাষায় ইতিহাস চর্চা স্বাধীন বাংলাদেশ রাষ্ট্র এবং এর প্রগতিশীল পথচলার সঙ্গে অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। সাম্প্রতিক সময়ে তরুণ ইতিহাস গবেষকেরা বাংলার ইতিহাসের অনালোচিত অঞ্চল থেকে শুরু করে যুদ্ধাপরাধ-মৌলবাদ-সাম্প্রদায়িকতাবিরোধী আন্দোলনের ইতিহাস অন্বেষণে যে গুরুত্ব দিচ্ছেন, তাও তাৎপর্যপূর্ণ’।

সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশন করেন কণ্ঠশিল্পী ফরিদা পারভীন, দিল আফরোজ রেবা, আকরামুল ইসলাম এবং পাগলা বাবলু। যন্ত্রাণুষঙ্গে ছিলেন দেবেন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় (তবলা), গাজী আবদুল হাকিম (বাঁশি), ফিরোজ খান (সেতার) এবং এম এম রেজা বাবু (বাংলা ঢোল)।

** আজ কি কিশোর প্রহর!

বাংলাদেশ সময়: ২১৪০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৯, ২০১৭
এমএন/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।