ঢাকা, শনিবার, ৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

বইমেলা

ছুটির সকালে মেলায় শিশুপ্রহরের আমেজ

সাজেদা সুইটি, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২২৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২০, ২০১৬
ছুটির সকালে মেলায় শিশুপ্রহরের আমেজ ছবি: জি এম মুজিবুর/ বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

অমর একুশে গ্রন্থমেলা থেকে: আর মাত্র একটি শিশুপ্রহর, ২৬ ফেব্রুয়ারি। কিন্তু তাতে কী? ছুটির সকালের গ্রন্থমেলায় চলছে অঘোষিত শিশুপ্রহরের আমেজ।


 
শনিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) মেলার ২০তম দিনের সকালে যাদের দেখা গেলো, তাদের মধ্যে শিশুদের উপস্থিতি উল্লেখযোগ্য। সপরিবারে এসেছেন বেশিরভাগ আগত। তাদের সঙ্গে এসেছে পরিবারের শিশু সদস্যরা।  
 
মতিঝিল আইডিয়াল স্কুলের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রী নাজহাত ফাইজা এসেছে তার ছোট কাকার সঙ্গে। পরনে স্কুলের নীল-সাদা ইউনিফর্ম। মেলার বাংলা একাডেমি অংশের স্টলগুলো ঘুরে রূপকথার বই, ছোটবেলার তথ্য ও ছবির অ্যালবামের মতো বই কিনেছে সে।
 
আলাপে বললো, ‘মা বলেছে, আজ স্কুলের পর গিয়ে ঘুরে আসো। সকালে ভিড় কম থাকবে, ধূলাও কম থাকবে। যে যে বই পছন্দ হয় কিনে নিতে বলেছে’।
 
মিরপুরের অফিসার্স কোয়ার্টারের পাশে থাকেন শারমিন আরা পরিবার। দুই সন্তানকে নিয়ে মেলায় এসেছেন শিশুপ্রহর ভেবেই।
 
বললেন, ‘আমিতো ভেবেছি, আজ শিশুপ্রহর। টিভিতে বাচ্চারা হালুমের নাচ দেখে আব্দার করেছিল আসতে। যাই হোক, আজ ভালো কিছু বই কিনে নিয়ে যাবো, আগামী ২৬ তারিখ এসেও একবার ঘুরে যাবো। ’
 
একাডেমি অংশে দায়িত্বে থাকা উপপরিদর্শক (এসআই) মাহফুজ বাংলানিউজকে বলেন, শিশুপ্রহর না থাকলেও ছুটির দিনের সকালে শিশুরা আসে। তাই আমরা এ বিষয়ে বেশি সজাগ থাকি। বাচ্চারা যেন হারিয়ে না যায়, ভিড়ে ব্যথা না পায়- এসব বিষয়ে খেয়াল রাখতে হয়। এছাড়া স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা আসেন। তাদের বিষয়ে নির্দেশনা রয়েছে।
 
টানা তিনদিনের ছুটিতে অনেকেই ঢাকার বাইরে বেড়াতে গেছেন। কেউ নিজেদের বাড়িতে, কেউ আবার কোনো দর্শনীয় স্থান দেখতে। তবু গতকাল (শুক্রবার) খুব ভিড় হয়েছে। ছুটির দিনের ভিড়ের জন্য আমাদের প্রস্তুতি ছিল বলে সমস্যা হয়নি। যত ভিড়ই হোক, সিকিউরিটি চেকিং অতিক্রম করতে হয়েছে আগতদের প্রত্যেককে, বলেন এসআই মাহফুজ।  
 
মেলার স্বাভাবিক চিত্র রয়েছে এদিন সকালে। তথ্যকেন্দ্রে প্রকাশকরা নতুন বইয়ের তথ্য জমা দিচ্ছেন। স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের প্রতিষ্ঠানের পোশাক দেখেই চেনা যাচ্ছে।
 
বেলা ১১টায় শুরু হওয়া এদিনের মেলা চলবে রাত ৮টা পর্যন্ত। সংলগ্ন রাস্তাটি ১১টার আগেই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
 
বিকেল ৪টায় গ্রন্থমেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হবে ‘বাংলাদেশে সামাজিক ও সাংস্কৃতিক জাগরণ: সমস্যা ও সম্ভাবনা’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান। প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন মফিদুল হক।
 
আলোচনায় অংশ নেবেন বদিউর রহমান, গোলাম কুদ্দুছ ও শুভাশিস সিনহা। সভাপতিত্ব করবেন কামাল লোহানী। এছাড়া প্রতিদিনকার মতো সন্ধ্যায় রয়েছে নাচ-গান-কবিতা আবৃত্তিসহ নানা আয়োজন।
 
প্রতিদিনের মতোই না বলে-কয়ে উপস্থিত হয়ে যেতে পারেন কোনো বিশেষ ব্যক্তিত্বও।
 
বাংলাদেশ সময়: ১২২৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২০, ২০১৬
এসকেএস/জেডএস

** বইমেলায় এতো বই, দৃষ্টিহীনের পাঠ্য কই!

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।