ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

বইমেলা

মেলার বাইরে আরেক মেলা

আল-আমিন, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১১৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৯, ২০১৪
মেলার বাইরে আরেক মেলা ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

মেলা প্রাঙ্গণ থেকে: এবারের অমর একুশে গ্রন্থমেলা সম্প্রসারিত হয়ে এর একটি অংশ বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণের বাইরেও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। কিন্তু, এ দুই জায়গার মেলার বাইরেও আরেকটি মেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

আর তা হচ্ছে- ‘বারোয়ারি মেলা’।

শাহবাগ ও নীলক্ষেত হয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি দিয়ে মেলা মুখে এবং দোয়েল চত্বর হয়ে মেলা প্রাঙ্গণে ঢুকতেই রাস্তায় দুইপাশের ফুটপাতে এবং মূল রাস্তার অনেকটা জুড়ে হরেক রকম পণ্যের পসরা সাজিয়ে বসেছেন হকাররা।

কী নেই এই বারোয়ারি মেলায়! দেশি-বিদেশি লেখকদের বই থেকে শুরু করে ঘর-সাজানোর জিনিসপত্র সবই পাওয়া যাচ্ছে এখানে।

টিএসসি এবং দোয়েল চত্বর হয়ে মেলায় ঢুকতেই চোখে পড়ে দেশি-বিদেশি লেখকদের নানা ধরনের বই রাস্তার ওপর বিছিয়ে বিক্রি করছেন বিক্রেতারা। বই বিক্রির স্টাইলেও রয়েছে ভিন্নতা।

‘এক দাম একশো, লইয়ে যান একশো’ ইত্যাদি স্লোগান দিয়ে ক্রেতাদের আকৃষ্ট করার চেষ্টা করছেন বিক্রেতারা।

এখানে বিক্রিত বইয়ের মধ্যে ভারতীয় লেখকদের বই বিক্রির হারই বেশি। যদিও বাংলা একাডেমির নীতিমালা অনুযায়ী, মেলায় বিদেশি লেখকের বই বিক্রি নিষিদ্ধ। তবে এ আইন থোরাই কেয়ার করে চলছেন এ সব বই বিক্রেতা।

এছাড়াও এখানে শিশুদের বিভিন্ন ধরনের বই, সাধারণ জ্ঞানের বই সবই পাওয়া যাচ্ছে। এখানে আরো রয়েছে, বিভিন্ন ধরনের খাবার, শিশুদের খেলনা, বিভিন্ন ধরনের আচার, ফুচকা, ডাব, মেয়েদের চুড়ি, টিপ, বিভিন্ন ধরনের গহনা, ফুল, থ্রি-পিস, সংসারের নিত্য-প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি, ঘর সাজানোর পণ্য, ছেলেদের মানিব্যাগ, মেয়েদের পার্স, জুতা-স্যান্ডেল, ওয়ালম্যাট ইত্যাদি বাহারি রকমের পণ্য পাওয়া যাচ্ছে এখানে।

ওজন মাপার মেশিন, আকুপাংচার চিকিৎসাসহ ফুটপাতে চেয়ারে বসে সরাসরি নিজের ছবি আঁকারও ব্যবস্থা রয়েছে এখানে।

মেলায় প্রবেশের সময় এ সব বইয়ের দোকান থেকে বই দেখে অনেক ক্রেতাই বই কিনছেন। কমদামে বই পাওয়ায় ক্রেতারাও ভিড় করছেন এখানে। আবার যারা পরিবার নিয়ে মেলায় আসছেন, তাদের অনেকেই স্ত্রী-সন্তান নিয়ে অল্প সময়ের জন্য ফুটপাতের নাস্তার দোকানে বসে নাস্তাও সেরে নিচ্ছেন।

তবে অভিযোগ রয়েছে, এখানে যে সব বই পাওয়া যাচ্ছে, তার সবই পাইরেটেড এবং নিম্নমানের বই।

মেলা প্রাঙ্গণের বাইরে এ বারোয়ারি মেলা প্রসঙ্গে সময় প্রকাশনীর প্রকাশক ফরিদ আহমেদ বাংলানিউজকে বলেন, মূল মেলায় এর প্রভাব না পড়লেও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন সাধারণ ক্রেতারা। কারণ, এখান থেকে তারা যেসব বই কিনছেন, তার অধিকাংশই নিম্নমানের ও পাইরেডেট বই। এখান থেকে তারা টাকা দিয়ে খারাপ বই কিনছেন।

তিনি বলেন, নিয়ম রয়েছে, মেলার বাইরে এভাবে ব্যবসার উদ্দেশ্যে বসা যাবে না।
তবে এটা দেখার দায়িত্ব আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর। তারা যদি রাস্তা পরিস্কার না রাখতে পারে, তাহলে মেলায় আগত পাঠক-দর্শনার্থীদের সমস্যায় পড়তে হচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ২১২৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৯, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।