ঢাকা, রবিবার, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫

বইমেলা

মননশীল বইয়ে ঝুঁকছে পাঠক

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৩৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১২, ২০২৪
মননশীল বইয়ে ঝুঁকছে পাঠক

ঢাকা: মননশীল পাঠকের অভাবে নিরুৎসাহিত হয় মননশীল সাহিত্য সৃষ্টি। এ যেন এক দুষ্টচক্র।

মননশীল পাঠকের অভাবে মননশীল লেখক সৃষ্টি হয় না, আবার লেখকের অভাবে পাঠক হয় না। তবে গত এক দশকে দেশের পাঠক সমাজে বিরাট এক পরিবর্তন এসেছে। গল্প, উপন্যাস, কবিতার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে গবেষণা, ইতিহাস, মুক্তিযুদ্ধ, দর্শন, সংগীত, বিজ্ঞান, ভ্রমণ ও ধর্মবিষয়ক বইয়ের পাঠকও।

দেশের ছোট-বড় সবগুলো প্রকাশনা এখন এই ধারার বই সারা বছর প্রকাশ করে। অনেকগুলো প্রকাশনা সংস্থা মূলত এই ধরনের বইকেই তাদের মূল ধারা হিসেবে বেছে নিয়েছে। তৈরি হয়েছে আলাদা এবং বিশাল পাঠককুলও। বইমেলারও একটি বড় অংশ তারা।

বইমেলা ঘুরে দেখা যায়-গবেষণা, মুক্তিযুদ্ধ, ইতিহাসনির্ভর বই প্রকাশ করে যেসব প্রকাশনা সংস্থা, কথাপ্রকাশ তাদের মধ্যে অন্যতম। এ বছর প্রকাশনাটি থেকে সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীর ‘সাতচল্লিশের দেশভাগে গান্ধী ও জিন্নাহ’, যতীন সরকারের ‘সাংস্কৃতিক জাগরণের প্রত্যাশা’, সনৎকুমার সাহার ‘অর্থনীতির ন্যায় অন্যায়’, জাহীদ রেজা নূরের ‘৬ দফা থেকে স্বাধিকার’সহ উল্লেখযোগ্য সব বই প্রকাশ হয়েছে।

কথাপ্রকাশের ব্যবস্থাপক মো. ইউনূস আলী জানান, পাঠকরা আমাদের প্রকাশনাকে চেনেন গবেষণা, প্রবন্ধ, মুক্তিযুদ্ধ, ইতিহাসবিষয়ক বইয়ের জন্য। অনেক পাঠক এসে বলেন, বাংলা একাডেমিতে এখন এ ধারার খুব ভালো বই পাই না। এ বইগুলোর আলাদা পাঠক রয়েছে। বইগুলোর বিক্রি ভালো বলেই আমরা এখন এই ধারার নানা বিষয়কে উপজীব্য করে উপন্যাস প্রকাশ করছি। লেলিন উপন্যাসটি তেমনই। ছয় বছরের চেষ্টায় উপন্যাসটি লেখা হয়েছে।

প্রথমা প্রকাশনার বইয়ের একটি বিশেষ জায়গা দখল করে আছে প্রবন্ধ, গবেষণা, ইতিহাস। আনু মুহাম্মদের লেখা ‘অর্থশাস্ত্র ইতিহাস, দর্শন রাষ্ট্রনীতি’, বদিউল আলম মজুমদারের ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিলের রাজনীতি’, মহিউদ্দিন আহমদের ‘প্লাবনভূমির মহাকাব্য’, ‘মুক্তিযুদ্ধে শহীদ বুদ্ধিজীবী’সহ আরও বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বই প্রকাশ করেছে তারা।

এ বইগুলোর বাজারের বিষয়ে প্রথমা প্রকাশনের ব্যবস্থাপক জাকির হোসেন বলেন, গবেষণা, প্রবন্ধ, মুক্তিযুদ্ধ, ইতিহাস, আত্মজীবনী, অনুবাদ, ধর্মীয়, গণিত, বিজ্ঞানের বইগুলোর বিশাল পাঠককুল। সবচেয়ে বড় বিষয় হলো, এ বইগুলো শুধু মেলায় নয়-সারা বছরই বিক্রি হয়।

পাঠক সমাবেশ থেকে এবারের বইমেলায় প্রকাশ হয়েছে স্বকৃত নোমানের ‘বাংলার ইসলাম সহজিয়া ও রক্ষণশীল ধারা’। মাওলা ব্রাদার্স প্রকাশ করেছে কাবেদুল ইসলামের ‘গণপরিষদ বিতর্কের আলোকে বাংলাদেশের সংবিধান জন্মকথা’, আগামী প্রকাশনী থেকে প্রকাশ হয়েছে ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেনের ‘শেখ মুজিব বঙ্গবন্ধু থেকে বিশ্ববন্ধু’, সময় প্রকাশন থেকে এসেছে ‘কী চেয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু’, ঐতিহ্য থেকে প্রকাশ হয়েছে সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীর ‘সাহিত্যের নায়িকাদের তিন অধ্যায়’, মহিউদ্দিন আহমেদের ‘তেহাত্তরের নির্বাচন’ এবং ‘চুয়াত্তরের দুর্ভিক্ষ’, অবসর থেকে প্রকাশ অপেক্ষায় আছে গোলাম মুরশিদের ‘মাইকেলের দু শো বছর’। ইউপিএল থেকে প্রকাশ হয়েছে এম ইদ্রিস আলীর ‘বঞ্চনা ও প্রান্তিকতার ইতিবৃত্ত ইসরায়েলের আরব জনগোষ্ঠী’।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১২, ২০২৪
এইচএমএস/এসআইএস 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।