ঢাকা, মঙ্গলবার, ৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৯ মার্চ ২০২৪, ০৮ রমজান ১৪৪৫

বইমেলা

শিল্পী সফিউদ্দীন আহমেদ ও এস এম সুলতানকে নিয়ে আলোচনা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৪২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১১, ২০২৩
শিল্পী সফিউদ্দীন আহমেদ ও এস এম সুলতানকে নিয়ে আলোচনা

ঢাকা: বাংলাদেশের ছাপচিত্রের পথিকৃৎ এবং উপমহাদেশের স্বানামধন্য ছাপচিত্রী সফিউদ্দীন আহমেদ এদেশের শিল্প আন্দোলনের সূতিকাগার। অপরদিকে এস এম সুলতান  শুধু চিত্রশিল্পীই ছিলেন না, তার স্বতন্ত্র দর্শন, রাজনীতি, সমাজ ভাবনা ছিল; যা একই সঙ্গে দেশজ ও সময়ের চেয়ে অগ্রগামী বলে মন্তব্য করেছেন বিশিষ্টজনেরা।

শুক্রবার সন্ধ্যায় বইমেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় ‘জন্মশতবার্ষিক শ্রদ্ধাঞ্জলি  শিল্পী সফিউদ্দীন আহমেদ’ এবং  ‘জন্মশতবার্ষিক শ্রদ্ধাঞ্জলি  এস এম সুলতান’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান। এই আয়োজনেই বক্তারা এমন মন্তব্য করেন। সভায়  প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন মলয় বালা এবং সৈয়দ নিজার। আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন সুশান্তকুমার অধিকারী, ইমাম হোসেন সুমন, নাসির আলী মামুন এবং নীরু শামসুন্নাহার। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মুনতাসীর মামুন।

প্রাবন্ধিকরা বলেন, বাংলাদেশের ছাপচিত্রের পথিকৃৎ এবং উপমহাদেশের স্বানামধন্য ছাপচিত্রী সফিউদ্দীন আহমেদ এদেশের শিল্প আন্দোলনের সূতিকাগার গভর্নমেন্ট স্কুল অব আর্টের প্রতিষ্ঠাতাদের অন্যতম। তিনি সফল তেলরং শিল্পী, ছাপচিত্রী এবং একজন স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্যে ভাস্বর শিক্ষক। জীবন ও কর্মে তার সাধনার ধরণ, নিভৃতচারী স্বভাব, বিলাসবর্জিত জীবনযাপন, সততা, শুদ্ধাচার, সংগীতানুরাগ, মুক্তদৃষ্টি, ধ্যান, শিল্পসাধনা ও ব্যক্তিত্ব তার চরিত্রে জুগিয়েছে অভিনতুন মাত্রা।

তারা বলেন, অপরদিকে এস এম সুলতান শুধু চিত্রশিল্পীই ছিলেন না, তার স্বতন্ত্র দর্শন, রাজনীতি, সমাজ নন্দনভাবনা ছিল; যা একইসঙ্গে দেশজ ও সময়ের চেয়ে অগ্রগামী।  

সভাপতির বক্তব্যে মুনতাসীর মামুন বলেন, শিল্পী সফিউদ্দীন আহমেদ এবং এস এম সুলতান আমাদের শিল্পকলার জগতে উজ্জ্বল দুই নক্ষত্র। সফিউদ্দীন আহমেদ প্রাতিষ্ঠানিকতার মধ্যে থেকে নিখুঁত কলাকৌশলের মাধ্যমে শিল্পচর্চা করে গেছেন। অন্যদিকে এস. এম. সুলতান শিল্পচর্চার দিক থেকে ছিলেন সাধারণ মানুষের কাছাকাছি, যে কারণে তার ছবির ভেতর আমরা নিজেদের খুঁজে পাই।

শুক্রবার লেখক বলছি অনুষ্ঠানে নিজেদের নতুন বই নিয়ে আলোচনা করেন মৌলি আজাদ, সাগরিকা নাসরীন, সাহাদাত পারভেজ এবং হুমায়ূন কবীর ঢালী। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে কবিতা পাঠ করেন বায়তুল্লাহ কাদেরী, সঞ্জীব পুরোহিত, ফারহানা রহমান এবং রুহ রুহেল। আবৃত্তি পরিবেশন করেন আবৃত্তিশিল্পী ডালিয়া আহমেদ, নুরুজ্জামান, মাসুদ রানা ও মাহমুদুল হাকিম তানভীর।  

এছাড়াও ছিল জিনিয়া জ্যোৎস্নার পরিচালনা নৃত্য সংগঠন ‘জিনিয়া নত্যৃকলা একাডেমি’ মনোমি তানজানার পরিচালনায় নৃত্য সংগঠন ‘নিক্কন পারফরমিং আর্ট সেন্টার’, জাকির হোসেনের পরিচালনায় নৃত্য সংগঠন ‘শান্তি ভাবদর্শন চর্যাকেন্দ্র’, পারভীন আক্তার আঁখির পরিচালনায় নৃত্য সংগঠন ‘আনসার ডান্স অ্যাকাডেমি’-এর নৃত্য পরিবেশনা। আবৃত্তি পরিবেশনা করেন ‘বঙ্গবন্ধু আবৃত্তি পরিষদ’ এবং ‘ত্রিলোক বাচিক পাঠশালা’-এর শিল্পীরা।

বাংলাদেশ সময়: ১০৪৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১১, ২০২৩
এইচএমএস/এসআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।