বইমেলা থেকে : বাংলাসাহিত্যে নিজ নিজ কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ ১০জনকে পুরস্কার প্রদান করেছে বাংলা একাডেমী।
শুক্রবার সন্ধ্যায় গ্রন্থমেলার মূলমঞ্চে বাংলা একাডেমী সাহিত্য পুরস্কার ২০১১ প্রদান করেন একাডেমীর সভাপতি অধ্যাপক আনিসুজ্জামান এবং মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খান।
পুরস্কারপ্রাপ্তরা হলেন : কবিতায়: যৌথভাবে অসীম সাহা এবং কামাল চৌধুরী, কথাসাহিত্যে: আনিসুল হক, প্রবন্ধে: আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ, গবেষণায়: অধ্যাপক বিশ্বজিৎ ঘোষ, অনুবাদে: অধ্যাপক খালিকুজ্জামান ইলিয়াস, মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক সাহিত্যে: বেলাল মোহাম্মদ, ভ্রমণ কাহিনীতে: ডা. বরেণ চক্রবর্তী, বিজ্ঞান প্রযুক্তি ও পরিবেশে: ড. আলী আসগর এবং শিশুসাহিত্যে আখতার হুসেন।
পুরস্কারপ্রাপ্তদের সম্মাননা পত্র, সম্মাননা স্মারক এবং ১ লক্ষ টাকা মূল্যমানের চেক পুরস্কারস্বরূপ প্রদান করা হয়।
পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে স্বাগত ভাষণ দেন বাংলা একাডেমীর মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খান এবং সভাপতিত্ব করেন অধ্যাপক আনিসুজ্জামান।
শামসুজ্জামান খান বলেন, পুরোপুরি গণতান্ত্রিক পদ্ধতি অনুসরণ করে বাংলা একাডেমী সাহিত্য পুরস্কার ২০১১ প্রদান করা হয়েছে।
তিনি বলেন, সবাইকে একসঙ্গে খুশি করা যদিও সম্ভব নয়, তবু এবারের পুরস্কার সবার কাছেই গ্রহণযোগ্য হয়েছে।
অনুভূতি ব্যক্ত করে পুরস্কারপ্রাপ্তরা বলেন, লেখকের দায়বোধ পুরস্কার নির্ভর নয়, পাঠকের ভালোবাসাই বড় পুরস্কার। পুরস্কার কোনো সৃষ্টিশীল মানুষের লক্ষ্য হতে পারে না। বাংলা একাডেমী সাহিত্য পুরস্কারপ্রাপ্তি একটি গৌরবজনক ব্যাপার। অন্তহীন সাহিত্যপথে এই পুরস্কার চন্দ্রকরোজ্জ্বল প্রেরণার ভূমিকা পালন করে।
সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক আনিসুজ্জামান বলেন, রাজনৈতিক নেতিবাচক বিবেচনায় অনেক সময় অযোগ্যরা এ পুরস্কার লাভ করলেও অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এই পুরস্কার যথাযথ পাত্রেই অর্পিত হয়েছে।
তিনি বলেন, পুরস্কারের জন্য পৃথিবীর কোনো প্রকৃত লেখক লেখেন না কিন্তু যে নেপথ্য-প্রেরণা পুরস্কার দেয় তা সৃষ্টিশীলতার নতুন নতুন দ্বার উন্মোচন করে।
সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে নৃত্য পরিবেশন করে শিখর কালচারাল অর্গানাইজেশন এবং লোকগান পরিবেশন করে লোকগানের সংগঠন ‘সহজিয়া’ এবং ‘ভাটিবাংলা বাউল একাডেমী ও গবেষণা কেন্দ্র’।
বাংলাদেশ সময় : ২১০৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০১২