বইমেলা থেকে : বইমেলায় বাংলানিউজের সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, শিক্ষানীতি সবার কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্যই বইমেলায় আমরা স্টল দিয়েছি। বিনামূল্যে গত তিন বছর আমরা প্রথম থেকে দশম শ্রেণী পর্যন্ত সকল শিক্ষার্থীর কাছে বই পৌঁছে দিয়েছি।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডে স্টল উদ্ধোধন করার পর শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ হাসতে হাসতে বাংলানিউজকে এসব কথা বলেন।
মেলার ষষ্ঠদিন নুরুল ইসলাম নাহিদ বিকেল ৫টা ১০মিনিটে ফিতা কেটে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের স্টল উদ্ধোধন করেন।
এরপর মেলার মধ্যেই বিভিন্ন গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার পর বাংলানিউজের মুখোমুখি হন শিক্ষামন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘আমরা শিক্ষা ব্যবস্থার ব্যাপক পরিবর্তন আনতে চাই। সে লক্ষ্যেই গতবছর সরকার বুদ্ধিজীবী, শিক্ষাবিদ এবং বিরোধীদলের মতামত নিয়ে শিক্ষানীতি প্রণয়ণ করেছি। এ শিক্ষানীতিতে সবার মতামত প্রতিফলিত হয়েছে। তা এখন বাস্তবায়নের পথে। ’
তিনি বলেন, এ শিক্ষানীতি আমরা গতবছর মেলায় তুলে ধরেছি। এবারও তুলে ধরছি।
বইমেলা সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘বইমেলায় আসলে পুরানো কথা মনে পড়ে। অনেক স্মৃতি আছে এ মেলায়। এটা আমার কাছে আবেগের একটি জায়গা। এটা বলে বুঝানো যাবে না। ’
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এখানে স্টল উদ্ধোধন না হলেও প্রাণের টানে ফিরে আসতাম। ’
মুক্তিযুদ্ধের লক্ষ্য-উদ্দেশ্য এখনো পূরণ হয়নি উল্লেখ করে তিনি বলেন, বায়ান্ন’র ভাষা আন্দোলনের পথ ধরে আমাদের মুক্তিযুদ্ধ। কিন্তু একাত্তরে আমাদের যে স্বপ্ন নিয়ে মুক্তিযুদ্ধ হয়েছে তা এখনও বাস্তবায়ন হয়নি।
বইমেলাকে প্রাণের মেলা উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, ‘বইয়ের প্রতি এদেশের মানুষের এতো প্রেম এখানে না আসলে বুঝা যায় না। ’
ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয় কাজ করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বর্তমানে ওয়েবসাইটে ই-বুক পাওয়া যাচ্ছে। কাগজের বই না থাকলেও সমস্যা নেই। ডাউনলোড করেই বিশ্বের যে কোনো জায়গা থেকে প্রাইমারি ও হাইস্কুলের শিশু-কিশোররা এক ক্লিকেই বই পড়তে পারছে। ওয়েবসাইটে বই প্রাপ্তির এ সুযোগ করে দেওয়ায় তা সর্বমহলে প্রশংসিত হয়েছে। ’
সন্ধ্যার দিকে মেলা পরিদর্শন করেন শিক্ষামন্ত্রী।
বাংলাদেশ সময় : ১৮৩৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৬, ২০১২