ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

শিল্প-সাহিত্য

চতুর্থ দিনে আনন্দমুখর বইমেলা

ফেরদৌস মাহমুদ, আদিত্য আরাফাত, মহিউদ্দিন মাহমুদ, এমজে ফেরদৌস | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৩৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৪, ২০১২
চতুর্থ দিনে আনন্দমুখর বইমেলা

বইমেলা থেকে: সন্ধ্যার পর থেকেই প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে শনিবার চতুর্থ দিনের বইমেলা প্রাঙ্গণ। কেউ বই কিনছেন, কেউ হাতে নিয়ে দেখছেন আবার কেউবা প্রিয় লেখকের বই কবে আসবে এ খোঁজ নিচ্ছেন।

তারুণ্যের একটি দল সমস্বরে গান গেয়ে মাতিয়ে রাখেন বইমেলা।

মেলা চলাকালীন সময়ে হঠাৎ প্রিয় লেখকের উপস্থিতি দেখে পাঠকরা ব্যস্ত হয়ে ওঠেন অটোগ্রাফ নিতে। সন্ধ্যার পর জনপ্রিয় লেখক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল অটোগ্রাফ শিকারিদের পাল্লায় পড়েন। কথা সাহিত্যিক ইমদাদুল হক মিলনও মেলায় এসে পাঠকদের অটোগ্রাফ দিয়ে যাচ্ছিলেন। ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল বাংলানিউজকে বলেন, ‘প্রতি বছরই প্রাণের টানে ছুটে আসি একুশের বইমেলায়। এ মেলার সঙ্গে জড়িয়ে আছে আবেগ-অনুভূতি। ’

বইমেলা সম্পর্কে ইমদাদুল হক বলেন, ‘প্রতি বছর বইমেলায় অসংখ্য বই প্রকাশিত হচ্ছে। এর মধ্যে দশটি বইও যদি মানসম্মত হয়, তাহলে সেই বইগুলো বাংলা সাহিত্যের সম্পদ হয়ে থাকবে। ’

শুরু হলো গ্রন্থমেলা প্রতিদিন...

শনিবার সন্ধ্যা থেকে শুরু হয়েছে বাংলা একাডেমী আয়োজিত সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা ‘গ্রন্থমেলা প্রতিদিন’। বাংলা একাডেমী কর্তৃপক্ষ জানান, প্রতিদিনই মেলার বিভিন্ন বিষয় নিয়ে  গণমাধ্যমের মুখোমুখি হবেন তারা।  

শনিবার প্রথম দিন সন্ধ্যায় সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরে বাংলা একাডেমীর মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খান কথা বলেন।

মেলাকে বাংলা একাডেমীর সীমানার বাইরে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সম্প্রসারণ করা যায় কি-না এ প্রসঙ্গে মহাপরিচালক বলেন ‘মেলা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে করলে মাস্তানের উপদ্রব দেখা দেবে। তাছাড়া বাংলা একাডেমীর মূল প্রাঙ্গণের সঙ্গে মেলার চেতনা মিশে আছে। এটাকে এর মধ্যে সীমাবদ্ধ করতে পারলেই ভালো। ’

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন একাডেমীর সচিব আলতাফ হোসেন, মেলা পরিচালনার সদস্য সচিব সাহিদা খাতুন ও উপপরিচালক মুর্শিদউদ্দিন আহম্মেদ।

চতুর্থ দিনের বই
বাংলা একাডেমীর উপ পরিচালক মুর্শিদ আনোয়ার বাংলানিউজকে জানান, মেলার চতুর্থ দিনে ১৩৩টি বই এসেছে। এর মধ্যে গল্পের বই ১২টি, উপন্যাস ৩২টি, প্রবন্ধ ৮টি, কবিতার বই ৩১টি, গবেষণাগ্রন্থ ১টি, ছড়ার বই ৭টি, শিশুসাহিত্য ৬টি, জীবনী/স্মৃতিচারণ ২টি, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক বই ৩টি, নাটক ১টি, বিজ্ঞান বিষয়ক বই ৩টি, ভ্রমণ বিষয়ক বই ১টি, রম্য/ধাঁধার বই ৯টি, অনুবাদ ২টি, সায়েন্স ফিকশন/গোয়েন্দা কাহিনী ২টি এবং অন্যান্য ১৩টি।

উল্লেখযোগ্য বইগুলোর মধ্যে রয়েছে, ইত্যাদি গ্রন্থ প্রকাশ থেকে কবি সৈয়দ শামসুল হক-এর কবিতার বই ভালবাসার পদাবলী, আবিস্কার প্রকাশনী থেকে সমরেশ মজুমদারের স্বপ্নেই এমন হয়, আগামী প্রকাশনী থেকে হাসানাত আবদুল হাই-এর উপন্যাস বৃষ্টিতে কিংবা কুয়াশায়, বাংলাপ্রকাশ থেকে ড. সফিউদ্দিন আহমেদ-এর প্রবন্ধের বই রবীন্দ্রনাথ নিজেই যেখানে মল্লিনাথ, প্রিয় প্রকাশ থেকে বাংলা একাডেমীর মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খান-এর গল্পের বই গ্রাম বাংলার রঙ্গগল্প, বিদ্যাপ্রকাশ থেকে মোস্তফা মামুনের কিশোর উপন্যাস ফ্রেন্ডস ক্লাব টু, অবসর প্রকাশনা সংস্থা থেকে আহসান হাবীবের রম্য সমগ্র এবং গণপ্রকাশনী থেকে প্রকাশিত গোলাম আবু জাকারিয়ার বিজ্ঞান বিষয়ক বই বাংলাদেশের বিজ্ঞানচর্চা।

এছাড়া আহমদ পাবলিশিং হাউস থেকে বের হয়েছে মেজর জেনারেল (অব.) সুবিদ আলী ভূঁইয়ার আত্মজীবনীমূলক বই  বঙ্গবন্ধুকে যেমন দেখেছি, পার্ল পাবলিকেশন্স এনেছে সুমন্ত আসলামের রম্য বই বাউন্ডুলে-১১ ইত্যাদি।

বাংলাদেশ সময় ২১০০, ফেব্রুয়ারি ০৪, ২০১২

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।