ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

শিল্প-সাহিত্য

‘রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা থেকে বঞ্চিত ভাষা-শহীদের পরিবার’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯২৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৪, ২০১২
‘রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা থেকে বঞ্চিত ভাষা-শহীদের পরিবার’

ঢাকা: শনিবার ছিলো বাংলা একাডেমী আয়োজিত অমর একুশে গ্রন্থমেলার চতুর্থ দিন। বিকেলে মেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত আলোচনা পর্বে ভাষা-শহীদ রফিক উদ্দিন, আবুল বরকত ও আব্দুস সালাম বিষয়ে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ড. আমিনুর রহমান সুলতান এবং ড. শাহীদা আখতার।



আলোচনায় অংশ নেন গবেষক শাহিদা খাতুন, ভাস্কর রাসা এবং ড. তসিকুল ইসলাম রাজা। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদার।

বক্তারা বলেন, ‘ভাষা-শহীদ রফিক-বরকত-সালাম এবং অন্যান্য শহীদেরা অসম সাহসিকতায় বাংলা ভাষার অধিকার আদায়ের আন্দোলন করেছেন, জীবন দিয়েছেন। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, সব শহীদের সমাধি সনাক্ত ও সংরক্ষণে আমরা ব্যর্থ হয়েছি। ’

‘তাদের স্মৃতিচিহ্নসমূহ উত্তর প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতেও ব্যর্থ হয়েছি। আর স্বাধীন বাংলাদেশে ভাষা-শহীদের পরিবারবর্গ অস্তিত্ব রক্ষার কঠিন লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। প্রাপ্য রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা থেকেও নিদারুণভাবে বঞ্চিত হচ্ছে তারা। জাতির জন্য যা অত্যন্ত কলঙ্কজনক। ’

ভাস্কর রাসা বলেন, ভাষা-শহীদ সালাম ও রফিকের সমাধি যেহেতু এখনও অচিহ্নিত তাই রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে তাদের প্রতীকী কবর স্থাপন করতে হবে।

শাহিদা খাতুন বলেন, বাংলা ভাষার পাশাপাশি দেশের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর মাতৃভাষা সংরক্ষণ ও কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে। তিনি বলেন, বাংলা একাডেমী ভাষা-শহীদদের পূর্ণাঙ্গ জীবনী প্রণয়নের উদ্যোগ নিয়েছে।

তসিকুল ইসলাম রাজা বলেন, ভাষা-আন্দোলন শুধু রাজধানীকেন্দ্রিক ছিল না। এর শেকড় বিস্তৃত ছিল দেশের প্রত্যন্ত মফস্বলেও। তাই ভাষা-আন্দোলনের আঞ্চলিক ইতিহাস প্রণয়ন এখন সময়ের দাবি।

সভাপতির ভাষণে রামেন্দু মজুমদার বলেন, একুশ শোকের নয়, জীবনের জয়গানের নাম। অমর একুশের নেপথ্য-নায়ক ভাষা-শহীদদের আদর্শ আজকের তরুণদের কাছে যথাযথভাবে তুলে ধরতে হবে।

সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক পর্বে সেন্টু রায় নির্মিত তথ্যচিত্র ‘আলতাফ মাহমুদ’ প্রদর্শিত হয়। সংগীত পরিবেশন করেন শিল্পী পাপিয়া সারোয়ার।

বাংলাদেশ সময়: ১৯২০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৪, ২০১২

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।