কেমন হবে মেলার প্রথম দিন ভাবতে ভাবতে এক সময় হাজির হই মেলার গেটের সামনে। মেলার উদ্বোধন হয়ে গেছে।
ছোটকাগজের স্টলগুলো এখনো জমে ওঠেনি। বলা চলে প্রায় সব স্টলই ফাকা। চলছে স্টল সাজানোর কাজ। বিচ্ছিন্নভাবে দেখা যাচ্ছে ছোটকাগজ কমী ও তরুন কবি-সাহিত্যিকদের ঘোরাফেরা করতে।
এরই মধ্যে আমাদের চোখ গেল ছোটকাগজচত্ত্বরের প্রবেশপথে, কোনায় একটি স্টলের দিকে। স্টলের নাম ‘ঋষিজ’। স্টলটি সাজানো হয়েছে আবদুল লতিফ, অজিত রায় বা আজম খানের মত প্রয়াত শিল্পীদের পোস্টার দিয়ে। ওই স্টলের সামনেই আমাদের দেখা হয়ে যায় গণসঙ্গীত শিল্পী ফকির আলমগীরের সাথে।
কথা হয় তার সাথে বইমেলার অতীত বতর্মান নানা দিক নিয়ে। প্রথমেই হাসিমুখে তিনি বাংলানিউজকে বলেন— এত প্রতিবন্ধকতা পেরিয়ে আজও বই মেলায় আসতে পারি এটাই সৌভাগ্য। এখানে এলেই নস্টালজিক হয়ে উঠি।
মনে পড়ছে আমার কলিক আজম খানের কথা, অজিত দার কথা, শিল্পী আব্দুল লতিফের কথা। আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন কবীর চৌধুরী, হুমায়ুন আজাদ, রুদ্র মুহম্মদ শহীদুল্লাহ…. তাদের কথা এ মুহূর্ মনে পড়ছে। ’
তিনি আরও বলেন ‘বাংলা একাডেমীর বইমেলা গণজাগরণের মেলা। এটা শুধু বইয়ের মেলা নয়। বাণিজ্যিক বইমেলাও নয়। এ মেলা আমাদের প্রাণের সাথে জড়িত। বাঙালির হাজার বছরের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য এসে মিশেছে এই মেলায়। আর আমাদের লড়াই সংগ্রামের প্রধান শক্তি সাংস্কৃতিক লড়াইয়ের ইতিহাস। আর সেই লড়াই দিয়েই পাওয়া আমাদের এই বইমেলা।
মেলাটিতো মাত্র শুরু হয়েছে। আশা করছি এবারের মেলা অনেক পরিচ্ছণ্ন হবে। ’
বাংলাদেশ সময় ১৮৪৯, ফেব্রুয়ারি ১, ২০১২