ঢাকা, শনিবার, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

শিল্প-সাহিত্য

কবি সুকান্তের ৭৩তম মৃত্যুবার্ষিকী

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৩৩ ঘণ্টা, মে ১৩, ২০২০
কবি সুকান্তের ৭৩তম মৃত্যুবার্ষিকী কবির প্রতিকৃতিতে মাল্যদান করা হচ্ছে। ছবি: বাংলানিউজ

গোপালগঞ্জ: কবি সুকান্ত ভট্টাচার্য্যরে ৭৩তম মৃত্যুবার্ষিকী বুধবার (১৩ মে)। এ উপলক্ষে সকালে কবি সুকান্ত স্মৃতি সংসদের উদ্যোগে কবি পিতৃ পুরুষের নিবাস গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ার উনশিয়া গ্রামে কবির প্রতিকৃতিতে মাল্যদান করা হয়।

এ সময় সংগঠনের সভাপতি সাধারণ সম্পাদক অশোক কর্মকার ও কোটালীপাড়া উপজেলা উদীচীর সাধারণ সম্পাদক কংকন সেন উপস্থিত ছিলেন।

১৯৪৭ সালের ১৩ মে তিনি কলকাতার যাদবপুর ১১৯ লাউডন স্ট্রিটের রেড অ্যান্ড কিওর হোমে যক্ষ্মা রোগে আক্রান্ত হয়ে মাত্র ২১ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন।

ভারতে জন্মগ্রহণ করলেও কবির পিতৃ পুরুষের নিবাস গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার আমতলী ইউনিয়নের উনশিয়া গ্রামে। সুকান্তের পিতা নিবারণ ভট্টাচার্য্য কলকাতার কলেজ স্ট্রিটে বইয়ের ব্যবসা করতেন। ব্যবসার সুবাদে কবির পরিবারকে কলকাতাই থাকতে হতো। দীর্ঘদিন কবির পরিবার কলকাতায় অবস্থান করার কারণে তার পূর্ব পুরুষের ভিটাটি বেদখল হয়ে যায়। দীর্ঘ ৫৯ বছর বেদখল থাকার পরে ২০০৬ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর কবির বাড়ি দখলমুক্ত হয়। দখলমুক্ত হওয়ার পরে কবির পৈত্রিক ভিটাটি দীর্ঘদিন শূণ্য অবস্থায় পড়েছিল। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পরে জেলা পরিষদ কবির পৈত্রিক ভিটায় একটি অডিটোরিয়াম ও লাইব্রেরি স্থাপন করেছে। এখানে কবির স্মৃতিকে ধরে রাখার জন্য প্রতিবছর মার্চ মাসে প্রথম সপ্তাহে একটি মেলার আয়োজন করা হয়। কিন্তু কোনো বছরই বিশেষ কোনো অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সরকারি-বেসরকারিভাবে কবির জন্ম ও মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হয় না। এ ব্যাপারে অনেকেই হতাশা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

কবি সুকান্ত স্মৃতি সংসদের সাধারণ সম্পাদক অশোক কর্মকার বলেন, আগামী প্রজন্মের কাছে কবি সুকান্তকে তুলে ধরতে হলে সরকারি-বেসরকারিভাবে কবির জন্ম এবং মৃত্যুবার্ষিকী পালন করা উচিত। শুধু বাৎসরিক একটি মেলা করে বাঙালি জাতির কাছে কবি সুকান্তকে তুলে ধরা সম্ভব নয়। কবি সুকান্তকে বাঙালি জাতির কাছে তুলে ধরতে হলে সরকারিভাবে নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত।

কবি সুকান্ত স্মৃতি সংসদের সভাপতি আয়নাল হোসেন শেখ বলেন, করোনা ভাইরাসের কারণে আমরা এ বছর বড় পরিসরে কবি সুকান্তের মৃত্যুবার্ষিকী পালন করতে পারবো না। তবে আমরা বৃহস্পতিবার (১৪ মে) সকালে স্বাস্থ্যবিধি মেনে নিরাপদ শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে কবির প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করবো।

১৯২৬ সালের ১৫ আগস্ট কবি সুকান্ত ভট্টাচার্য কালীঘাটের মহিমা হালদার স্ট্রিটে মামাবাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবার নাম নিবারণ ভট্টাচার্য্য। মাতা সুনীতি দেবী।

ছাড়পত্র, ঘুম নেই, পূর্বাভাস, অভিযান, হরতাল-তার উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থ। কবির প্রতিটি কবিতায় অনাচার ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ধ্বনিত হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১২২৭ ঘণ্টা, মে ১৩, ২০২০
এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।