নিশীথের অন্ধকারে যে প্রেমের দীপশিখা জ্বালিয়েছি,
তাতেই মরণ তোমার।
তুমি জেগে আছো সেই অগ্নিশিখায় মরতে।
এই যে নির্ঘুম রাতের কারবারি হয়েছো,
কেনো বলতে পারো সক্রেটিস?
কারণ তুমি পুড়ছো প্রেম লেলিহানে।
দাবানলে ছাই হওয়ার ফন্দি আঁটছে তোমার মন!
তুমি বড্ড ভুলোমনা, তাইতো দর্শনে তুমি চিনতে পারোনি আমায়।
সক্রেটিস তুমি আবার এসো মনস্থির করে, তবে এবার যেন দর্শন ভুলে আমায় ঠিক চিনতে পারো।
জানি জাগতিক এই প্রেম তোমায় দিয়েছে নিছক যন্ত্রণা,
আত্মিক প্রেমের যে মুক্তির স্বাদ সক্রেটিস, তুমি কি ভুলে গেছো?
এত দর্শনের কী করব আমি, যাতে প্রেমের দেখা মেলেনি!
উড়নচণ্ডী এই কবিকে অন্তত একবার কাছে ডাকতে,
তবে জগত সংসার উদ্ধার হতো,
হয়তো প্রকৃতি খুঁজে পেতো পূর্ণতা।
তারপর নিশীথের অন্ধকারে যে প্রেমের দীপশিখা জ্বালিয়েছি,
তাতে রোজ পুড়ে মরতাম দুজন না হয় অন্তত আদরে জিইয়ে রাখতাম!
কবিতার ভাজে ভাজে এতো ভণিতা ছেড়ে,
নাহয় রইতাম তোমাতে ডুবে।
তৃষার্ত এই চোখে তুমি এক প্রেম দরিয়া,
চোখে চোখ রাখতে তবে ঠিক বুঝতে সে টান।
এখন যে চেগান দেয় মন গৃহত্যাগী জোছনা দেখলে
তা আগে কেনো বোঝো নাই?
সক্রেটিস, তোমার কবি সাঁতার জানে না—
তাই তোমার প্রেমদর্শনে ডুবে মরার সাধ জাগে তাঁর!
এমজেএফ