ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫

শিল্প-সাহিত্য

গানে গানে গুণীজন সংবর্ধনায় ভূষিত খুরশীদ আলম

ফিচার রিপোর্টার | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩২৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ২২, ২০১৯
গানে গানে গুণীজন সংবর্ধনায় ভূষিত খুরশীদ আলম খুরশীদ আলমের হাতে সম্মাননা তুলে দিচ্ছেন অতিথিরা। ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: সিটি ব্যাংক এনএ’র ‘গানে গানে গুণীজন সংবর্ধনা’ পেলেন বাংলা গানের কালজয়ী কণ্ঠশিল্পী মো. খুরশীদ আলম।

‘মাগো মা, ওগো মা, আমারে বানাইলি তুই দিওয়ানা’, ‘চুমকি চলেছে একা পথে’, ‘মনেরও রঙে রাঙাবো’সহ শ্রোতাপ্রিয় অসংখ্য গানের এই শিল্পীকে শুক্রবার (২২ নভেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে এই সম্মাননা দেওয়া হয়।

অনুষ্ঠানে তার হাতে সম্মাননা ক্রেস্ট ও সম্মানী চেক তুলে দেন বাংলাদেশ শিশু একাডেমির চেয়ারম্যান মুস্তাফা মনোয়ার ও সিটি ব্যাংক এনএ’র সিটি কান্ট্রি অফিসার এন. রাজাশেকারান।

খুরশীদ আলমকে শুভেচ্ছা জানিয়ে মুস্তফা মনোয়ার বলেন, সুন্দর গানের একটা আলাদা ধরন আছে। ‘তুমি আমি’ ধরনের গান বেশিদিন চলে না। গান এমন হতে হবে সেটা যেন মানুষের মনে গেঁথে থাকে। আমাদের শিল্পী সে ধরনের গান গেয়েই আজকের পর্যায়ে।  

এন. রাজাকোরান বলেন, বাংলাদেশ প্রখ্যাত সংঙ্গীতশিল্পী মো. খুরশীদ আলমকে সম্মানিত করতে পেরে আমরা অত্যন্ত গর্বিত। তার কণ্ঠ থেকে যে শক্তি ও উৎসাহ পাওয়া যায় তা বিশ্বজুড়ে বাঙালি সংগীতপ্রেমীদের জন্য অনুপ্রেরণামূলক।

সংবর্ধনাপ্রাপ্তির অনুভূতি জানিয়ে খুরশীদ আলম বলেন, একজন শিল্পীর জন্য তার কাজের স্বীকৃতি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তবে আমার কাছে ভক্তদের ভালোবাসাই সবচেয়ে বড় পুরস্কার। এটার মাধ্যমে অনুপ্রেরণা পাওয়া যায়। আজ যে সম্মাননা পেলাম তার একটা অন্যরকম গুরুত্ব আছে। আমি চাইবো সিটি ব্যাংক আরও অনেককে এ ধরনের সম্মাননা জানাক। কেননা, সম্মাননা জানালে সম্মান কমে না, বরং বাড়ে।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সিটি ব্যাংক এনএ’র ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা শামস জামান। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন গীতিকার রফিকুজ্জামান। সম্মাননা প্রদান শেষে অনুষ্ঠানে সঙ্গীত পরিবেশন করেন শিল্পী খুরশিদ আলম ও মুহিন খান।

ষাটের দশক থেকে বাংলাদেশের সঙ্গীত জগতে পরিচিত নাম মো. খুরশীদ আলম। ১৯৪৬ সালে জয়পুরহাটে জন্ম হলেও ১৯৪৯ সালেই ঢাকায় চলে আসেন ও এ শহরেই তার বেড়ে ওঠা। চাচা ও স্কুলের অনুপ্রেরণা থেকেই গান গাওয়া শুরু খুরশীদ আলমের। নানা প্রতিকূলতার মধ্য দিয়ে গানের অনুশীলন করে গেছেন। চলচ্চিত্রে ১৯৬৭ সালে প্রথম ‘আগন্তুক’ ছবিতে প্লেব্যাক করেন তিনি। ফিল্মি কণ্ঠ ছিল বলেই তার বেশিরভাগ গানই চলচ্চিত্রে গাওয়া। এখন পর্যন্ত দীর্ঘ ক্যারিয়ারে সাড়ে চারশরও বেশি চলচ্চিত্রে গান গেয়েছেন এই শিল্পী।

এর আগে, ২০০৪ সাল থেকে নিয়মিত আয়োজিত গুণীজন সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বিগত বছরগুলোতে সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে প্রয়াত নিলুফার ইয়াসমিন, ফরিদা পারভীন, প্রয়াত ফিরোজা বেগম, সানজিদা খাতুন, প্রয়াত সোহরাব হোসেন, ফেরদৌসী রহমান, সাবিনা ইয়াসমিন, রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা, প্রয়াত সুবীর নন্দী, প্রয়াত শাহনাজ রহমতুল্লাহ, সৈয়দ আব্দুল হাদী, মিতালী মুখার্জী, রুনা লায়লা, ফেরদৌস ওয়াহিদ ও আলাউদ্দিন আলীর মতো গুণী শিল্পীদের।

বাংলাদেশ সময়: ১৮২৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ২২, ২০১৯
এইচএমএস/একে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।