ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

শিল্প-সাহিত্য

মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধুকে জানতে বই পড়ার বিকল্প নেই

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৩২৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৮, ২০১৯
মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধুকে জানতে বই পড়ার বিকল্প নেই বইগাড়ির প্রথম আড্ডায়

মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধুকে জানতে বই পড়ার বিকল্প নেই। এজন্য মানসম্মত বই প্রকাশ ও পাঠকদের কাছে সেই পৌঁছে দেওয়ার মাধ্যমে পড়ুয়া বাড়ানোর উদ্যোগ নিতে হবে। শনিবার সন্ধ্যায় শ্রাবণ বইগাড়ির প্রথম আড্ডাটি রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোডে দীপনপুর বুকশপে অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনুষ্ঠানে বক্তারা একথা বলেন। 

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-এলাহী চৌধুরী বীরবিক্রম বলেন, মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে অনেক বই প্রকাশ হচ্ছে। কিন্তু মানুষের মধ্যে পড়ার আগ্রহ অনেক কমে গেছে।

 

বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী সামনে রেখে আগামী দেড় বছরে পাক্ষিক বিরতিতে মোট ৪০টি আড্ডার আয়োজন করবে শ্রাবণ প্রকাশনী। আজকের প্রথম আড্ডায় মানিক মোহাম্মদ রাজ্জাকের লেখা ‘১৯৭১ : বিদেশি গণমাধ্যমে বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ’ বই নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এতে সহযোগিতা করছে ঢাকা ইনেশিয়েটিভ।  


বাংলাদেশের প্রথম সরকারের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে গার্ড অব অনারের নেতৃত্বদানকারী এসপি মাহবুব উদ্দীন আহমেদ বীরবিক্রম বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশের পক্ষে-বিপক্ষে অনেক দেশ ছিল। কিন্তু মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি দেশ ছাড়া প্রায় সব দেশের মানুষ ও গণমাধ্যম বাংলাদেশের মানুষের পক্ষে অবস্থান নিয়েছিল। এই ইতিহাস পরবর্তী প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্ব আমাদের।  

সাংবাদিক সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা এসময় বলেন, আগস্ট মাস এলে অনেক ধরনের আলোচনা অনুষ্ঠান হয়। আমার মনে হয় ওইসব আলোচনার সভার চেয়ে এমন আড্ডা ও বই পড়ার প্রতি ছোটদের আগ্রহী করে তোলা অনেক বেশি কার্যকর হবে।  

লেখক মানিক মোহাম্মদ রাজ্জাক বলেন, আমার এই বই বিদেশি গণমাধ্যমে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে একটি সামান্য শুরু মাত্র। এ বিষয়ে বিস্তৃত গবেষণা সময়ের দাবি। সরকার চাইলে এমন উদ্যোগ সহজেই নিতে পারে।

শ্রাবণ প্রকাশনীর সত্ত্বাধিকারী রবিন আহসান বলেন, আড্ডার মাধ্যমে ভালো বইয়ের খবর পাঠকদের কাছে তুলে ধরতে চাই। তিনি বলেন, এই ক্ষেত্রে আমরা গণমাধ্যমের সহযোগিতা চাই।  

ড. সৌমিত্র শেখর বলেন, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে এমন কিছু বই আগেও প্রকাশ হয়েছে। তাদের থেকে মানিক মোহাম্মদ রাজ্জাকের বইটি ব্যতিক্রম। তিনি শুধু বিদেশি গণমাধ্যমের কথাগুলো অনুবাদ করেই দায়িত্ব শেষ করেননি। তার পর্যবেক্ষণও যুক্ত করেছেন। এটা গুরুত্বপূর্ণ সংযোজন। তিনি বলেন, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ক্ষেত্রে ভারতের পর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দেশ রাশিয়া। রাশিয়ায় মুক্তিযুদ্ধের সময় প্রকাশিত প্রতিবেদন নিয়ে আলাদা গবেষণা হওয়া উচিত।


বিশেষ এই উদ্যোগের মিডিয়া পার্টনার কালের কণ্ঠ, জিটিভি ও চ্যানেল আই।  

বাংলাদেশ সময়: ২৩২৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৭, ২০১৯
এসআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।