ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

শিল্প-সাহিত্য

দু’টি কবিতা | রাত উল আহমেদ

কবিতা ~ শিল্প-সাহিত্য | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৬৪৪ ঘণ্টা, মে ১, ২০১৮
দু’টি কবিতা | রাত উল আহমেদ দু’টি কবিতা | রাত উল আহমেদ

গমনাগম
সামনের যেকোনো বাড়ি ঢুকে যাব। প্রবেশের একটি মাত্র দরোজা। বেরোবার সাতটি। সাতটি দরোজা দিয়েই আমি বেরোতে চাই। বেরোবার দরোজাগুলো এমন করে খোলা, বেরোবার জামাগুলো, জামার বোতামগুলো। যেন পটপট।

প্রবেশ ফেরানো যায় না।

বহির্গমনের নিত্যানন্দ ভাসা।

আনন্দ ডিঙিয়ে মালাখোলা গলায় কীরূপ কথার আচার! আমার নকশা করা ভচকে ওঠা মাথায় কী যে দোল, কী না বলা! প্রিয়পাশ ঘোচানো না যাওয়া..

আমার দিকে মালা ধরাতেই মালাতে ফুলের আগুন গোলাকার। আমি ঠিক সার্কাসের খেলোয়াড়। মালা না পরে আগুনের রিং এর ভেতর দিয়ে মাছের মতো ফিঙ্!

মালা কাৎ হলে আমি কাৎ হয়ে যাব? আমি কাৎ না হলে মালা কাৎ হয়ে যায়। সামনের যেকোনো বাড়ি ঢুকে যাব, বহির্গমনের নিগুঢ় স্বাগতায়।

লিনচিং
এই যে মরুমাঠ, তার ভেতর-চেরা ফাঁকা পথ— হাত পা ছেড়ে নির্ভার একান্ত আমার। নিজের স্বত্ত্বে কেউ অশ্লীল বকে যাক। ছুঁয়ে যাক - চুইয়ে যাক - চুমিয়ে যাক কেউ। গাড়ি থামিয়ে থু থু রেখে যাক কতক— ছাল খুলে নিক চামড়াকারখানার লোক। চোখের গর্ত ঠুকরিয়ে কাঠঠোকরা বহুদিনে গড়া দৃষ্টিভঙ্গি তুলে নিক। শকুন নেমে আসুক, কুকুর উঠে আসুক, আসুন শেয়াল-শৃগাল। একপক্ষ পা ছিঁড়ে নিয়ে যাক, আরেকপক্ষ হাত খুলে নিতে টানবে খুব।

এইভাবে খেতে থাক। ছোট হব না ঠিক। যেহেতু নবজাতকের ওজন, মাংস, দৈর্ঘ-প্রস্থ বড়দের তুলনায় যৎসামান্য।

কী আছে? আধখাওয়া দৈহিক জীবনের একাংশকে বীজরূপ দিয়ে এক মাসের চারা থেকে শুরু করব আবার।

বাংলাদেশ সময়: ১২৩৯ ঘণ্টা, মে ০১, ২০১৮
এসএনএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।