ঢাকা, শনিবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

শিল্প-সাহিত্য

টোমাস ট্রান্সট্রোমারের আত্মস্মৃতি

স্মৃতির চাহনি : স্মৃতিলেখ [ কিস্তি--- ২]

মূল : টোমাস ট্রান্সট্রোমার, অনুবাদ : কুমার চক্রবর্তী | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৫৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৩, ২০১১
স্মৃতির চাহনি : স্মৃতিলেখ [ কিস্তি--- ২]

[সাহিত্যে সদ্য নোবেলজয়ী কবি টোমাস ট্রান্সট্রোমার। জন্ম ১৯৩১ সালরে ১৫ এপ্রলি সুইডনেরে স্টকহোমে।

১৯৫৪ সালে মাত্র ২৩ বছর বয়সে প্রকাশিত হয় তার প্রথম কবিতার বই ‘১৭ টি কবিতা’। তার উল্লেখযোগ্য অন্যান্য কবিতার বইয়ের মধ্যে রয়েছে--- Secrets on the way (1958), Half-finished heaven (1962), (Echoes and traces/bells and tracks (1966),  Seeing in the dark (1970),  For the living and the dead (1989) 

১৯৯০ সালে পক্ষাঘাতে আক্রান্ত হয়ে বাকশক্তি হারান ট্রান্সট্রোমার। ১৯৯৩ সালে প্রকাশিত হয় তার স্মৃতিকথা। এতে উঠে আসে তার শৈশব-কৈশোর এবং কবি হিসেবে তার বেড়ে ওঠার অনেক ঘটনাই। বাংলানিউজের পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো সেই স্মৃতিকথার অনুবাদ । ]

 

http://www.banglanews24.com/images/PhotoGallery/2011October/trantromer 6620111013191045.jpgযখন কোনো ছাত্রকে আমাদের স্কুল থেকে সংশোধনী স্কুলে পাঠানো হতো এবং সে এক বছর পর ফিরে আসতো, তখন আমার তাকে মনে হতো এমন একজন মানুষ যে মৃত অবস্থা থেকে জেগে উঠেছে।

আমার সঙ্গে আমার শ্রেণী বন্ধুদের গুরুত্বপূর্ণ পার্থক্য ছিল এই যে আমার বাবা ছিল না, তাদের বাবা ছিল। ক্লাসের ছেলেমেয়েদের অধিকাংশই কর্মজীবী শ্রেণী পরিবার হতে আসতো যাদের মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদ ছিল স্পষ্টতই খুব কম। আমি কখনোই স্বীকার করতাম না যে আমার ঘরোয়া অবস্থা অন্যরকম ছিল। এমনকি আমার মধ্যেও তেমন কিছু প্রকাশ পেতো না। অবশ্যই আমার একজন বাবা ছিল।

যদিও আমার সাথে তার দেখা হতো বৎসরে একবার, সাধারণত বড়দিনের ছুটির সময়, তবুও আমি সবসময় তার গতিবিধি সম্পর্কে ভাবতাম, যুদ্ধের সময় কোনো একস্থান হতে, উদাহরণত, কোনো টর্পেডো বোট হতে সে আমাকে খুবই চিত্তাকর্ষক চিঠি লিখেছিলো। আমি এই চিঠি ক্লাসে দেখাতে চেয়েছিলাম কিন্তু সে সুযোগ পাইনি।

একটি দুঃখের যন্ত্রণার মুহূর্ত এখনো মনে পড়ে। কয়েকদন অনুপস্থিত থাকার পর যেদিন স্কুলে এলাম, একজন সহপাঠী বলল যে একজন শিক্ষক---  যিনি ‘মিস আরে’র পরিবর্তে ক্লাস নিয়েছিলেন---  ক্লাসে বলেছেন যে তারা যেন আমার বাবা নেই এজন্য আমাকে পরিহাস না করে। অন্য কথায়, তারা আমার প্রতি দুঃখ প্রকাশ করলো। শুনে আমি আতংকিত হলাম। আমি অপ্রকৃতিস্থ হয়ে পড়লাম বড়ই। এ ঘটনা আমি বলে ফেলতে চেষ্টা করলাম, কিন্তু আমার মুখ লাল হয়ে উঠলো।

হ্যাসে নামের এক বিশাল বপুধারী ছেলে--- আমার থেকে কিনা পাঁচগুণ শক্তিশালী--- স্কুলের প্রথম বছরে ক্লাস-বিরতির সময় আমার সঙ্গে কুস্তি খেলতো। প্রথমদিকে আমি খুব তীব্রভাবে প্রতিহত করতাম কিন্তু তাতে কোনো কাজ হতো না। কারণ সে আমাকে ঠিক মাটির মধ্যে ফেলে দিতো যে কোনোভাবে আর আমার ওপর চড়ে বসতো। শেষমেষ আমি একটি উপায় বের করলাম তাকে নিরাশ করার আর তাহলো : পরিপূর্ণভাবে শক্তিহীন হয়ে পড়ে থাকা। যখন সে আমার দিকে এগিয়ে আসতো তখন আমি ভান করতাম যে আমার প্রাণসত্তা উড়ে চলে গেছে কেবল এই মৃতদেহ পেছনে ফেলে রেখে। যেন এক জীবনহীন শরীর যাকে সে ইচ্ছে মতো মাটিতে চেপে ধরতে পারতো। সে খুব তাড়াতাড়ি এতে ক্লান্ত হয়ে পড়তো।

আমি আশ্চর্য হয়ে যাই যে নিজে প্রাণহীন সত্তায় পরিণত হওয়ার এই উপায় পরবর্তী সময়ে আমার জীবনে কি অর্থপূর্ণই না হয়ে উঠেছিলো।


যুদ্ধ

১৯৪০-এর বসন্তকাল। আমি এক শুকনো অস্থিচর্মসার নয় বছরের বালক, খবরের কাগজের ওপর চোখ বুলাতে বুলাতে স্থির হয়ে পড়লাম, যুদ্ধের মানচিত্রে মনোনিবেশ করলাম সেই কালো-তীর-চিহ্নিত জায়গায় যা জার্মান ট্যাংক অভিযানের সাফল্যকে নির্দেশ করলো। এই তীরগুলো ফ্রান্সের ভিতর অক্ষশক্তির ঢুকে যাওয়াকে বোঝালো আর আমাদের মতো হিটলারের শত্রুদের শরীরে তা প্যারাসাইটের মতো বাস করতে লাগলো। আমি নিজেকে একজন হিটলারের শত্রু হিসেবে বিবেচনা করলাম। আমার রাজনৈতিক সম্পৃক্ততা কখনোই এর মতো এতো হৃদয় নিবিষ্ট হয়নি।

একজন নয় বছর বয়সী বালকের পক্ষে রাজনৈতিক সম্পৃক্ততা বিষয়ে লেখায় ভ্রান্তির সম্ভাবনাই বেশি, কিন্তু সত্যিকার অর্থে বলতে গেলে তা কোনো রাজনৈতিক ব্যাপার ছিলো না। আমার কোনো সামান্যতম ধারণাও ছিল না সামাজিক সমস্যা, শ্রেণী, ট্রেড ইউনিয়ন, অর্থনীতি, সম্পদের বণ্টন, সমাজতন্ত্র ও ধনতন্ত্রের প্রতিযোগী দাবি বিষয়ে।

আমি জানতাম একজন “সাম্যবাদী” হলেন এমন একজন যে রাশিয়াকে সমর্থন করে। “ডানপন্থা” ছিল একটি অস্পষ্ট বিষয় কারণ তাতে আমি রাজনৈতিক ডামাডোলে কারও জার্মান ঝোঁককেই মনে করতাম। এই “ডানপন্থা” সম্পর্কে আমার একটা ধারনা এ রকম ছিল যে একজন ধনী লোকের ধনী থাকার পক্ষে ভোট দেওয়া। কিন্তু ধনী হওয়া বলতে সত্যিকাভাবে কী বুঝতাম?

ধনী বলে কথিত এক পরিবারের কিছু কিছু অনুষ্ঠানাদিতে আমরা আমন্ত্রিত হতাম একসাথে খাবার খাওয়ার। তারা অ্যাপেলডিকেন-এ বাস করতো আর পরিবার প্রধান ছিলো একজন পাইকারি সরবরাহ ধরন গোছের ডিলার। বিশাল বাড়ি, সাদা আর কালো কাজের লোক। আমি দেখলাম, সে পরিবারের আমার বয়সী ছেলেটির একটি বিরাট অবিশ্বাস্য খেলনা গাড়ি : একটি আগুনের ইঞ্জিন- যা খুব কাক্সিক্ষত ছিলো আমার। কীভাবে একজন এমন একটি জিনিস পায়? আমার ক্ষণস্থায়ী ধারণার আলোকপাত এরকম ছিলো যে--- পরিবারটি ছিলো একটি ভিন্ন সামাজিক শ্রেণীর, যেখানে কেউ অনায়াসেই সচরাচর এ-জাতীয় খেলনা গাড়ি কিনতে সক্ষম। এখন আর এই স্মৃতি আমার নিকট অবিচ্ছিন্ন এবং গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে হয় না।

আমার ‘রাজনৈতিক’ প্রবৃত্তি পুরোপুরিই যুদ্ধ আর নাজীবাদ দ্বারা নির্দেশিত। আমি বিশ্বাস করতাম একজন হয় নাজী অথবা নাজীবিরোধী। আমি কখনোই ঐকান্তিকতাহীন মানসিকতাসম্পন্ন ছিলাম না, যেমন সুবিধাভোগিরা সুইডেনে প্রচলিত অপেক্ষা করো আর দেখো রীতিতে অভ্যস্ত ছিলো। আমার মতামত ছিল হয় মিত্র শক্তিকে সমর্থন করো অথবা নাজীবাদে আশ্রয় নাও। যখন আমি অনুভব করতাম যে কোনো একজন--- আমার পছন্দের--- ‘‘জার্মানপন্থী’’, তাৎক্ষণিকভাবে আমার বুকে যেন ফাঁস লেগে যেতো। সব কিছুই তখন শেষ হয়ে যেতো। তখন আর আমাদের মাঝে কোনো সহমর্মিতার ছিটেফোঁটাও থাকতো না।

আমার ঘনিষ্ঠদের কাছ হতে এ-ব্যাপারে দ্ব্যর্থহীন সমর্থন আমি প্রত্যাশা করতাম। এক বিকেলে যখন আমরা ইলোফ আঙ্কল আরা আগদা আন্টির বাসায় তাদের সাথে দেখা করতে গেলাম, তখনকার একটি খবর সাধারণত কম-কথা বলা আঙ্কলকেও বলতে অনুপ্রাণিত করলো : ‘‘ইংরেজরা সাফল্যের সাথে পশ্চাৎপসরণ করছে...’’। তিনি এ-কথা দুঃখের সাথেই বললেন তবুও তা আমাকে গভীরভাবে আহত করলো এবং আমার দম বন্ধ হয়ে আসলো। মিত্রশক্তির বিষয়ে আর কথাই হলো না। আমি ছাদের আলোর দিকে ভয়ানকভাবে চেয়ে রইলাম। সেটাই ছিলো কিছুটা সান্ত¦নার, কারণ তার আকৃতি ছিলো ব্রিটিশ স্টিল- হেলমেটের আকৃতি সদৃশ : যেন একটি স্যুপ প্লেট।

যুদ্ধের সময় বাবার সাথে আমার খুব অল্পই দেখা  হতো। কিন্তু একদিন তিনি হঠাৎ  এসে আমাকে সাংবাদিক বন্ধুদের সাথে তার এক পার্টিতে নিয়ে গেলেন। পানপাত্রগুলো যেখানে প্রস্তুত ছিলো যেখানে কোলাহল, হাসি-সিগারেটের ধোঁয়ার এক নিবিড়তা আমি দেখলাম। আমি সকলের সাথে পরিচিত হলাম আর আলাপ করলাম প্রশ্নের উত্তর দিয়ে দিয়ে। সেখানকার শিথিল ও সহনীয় পরিবেশে আমি আমার ইচ্ছেমতো সব করলাম। আমি সেই আশ্চর্য ঘরের বুক সেলফে হঠাৎ করেই মনোনিবেশ করলাম।

একটি প্রামাণ্যমূলক ‘পোল্যান্ডের শহীদ’ নামের নতুন প্রকাশিত একটি পুস্তকের কাছে চলে আসলাম। যখন উচ্চৈঃস্বরে চারদিক গমগম করছে তখন আমি মেঝেতে বইটি বিছিয়ে পুরোটা পড়ে ফেললাম। এ-এক ভয়ঙ্কর বই--- যা আমি আর কখনো দেখিনি---- আমি যা ভয় করছিলাম অথবা সম্ভবত যে বিষযে আমি আশা করছিলাম, বইটিতে তা-ই ছিলো। আমি যা কল্পনা করেছিলাম নাজীরা ছিলো তার চেয়ে ভয়ঙ্কর খারাপ আর অমানবিক! আমি আশ্চর্য আর নিরাশা নিয়ে বইটি পড়লাম আর একই সময়ে এক জয়ের অভিঘাত আর অনুভূতিতে আন্দোলিত হলাম : একদিন এ প্রকাশ পাবেই, একদিন; তোমরা যারা নাজীদের বিষয়ে দ্বিধায় ভুগছো তোমাদের মুখের ওপর এই সত্য ছুড়ে দেওয়া হবে যেন দেখতে যাও। একটু অপেক্ষা কর! আর এই হলো ঘটনা যা ঘটেছে।

পাঠাগার

‘সিটিজেন স্কয়ার’ ১৯৪০ সালের দিকে নির্মিত। সোডার শহরের মাঝখানে তা বিশাল বর্গক্ষেত্রীয় এলাকা : এক উজ্জ্বল আশাব্যঞ্জক, আধুনিক অট্টালিকা--- এক কথায় খুবই উপযোগী। আমাদের বসবাসের স্থান হতে তা মাত্র পাঁচ মিনিটের পথ। এতে ছিলো অন্যান্য জিনিসের মতোই একটি জনসাধারণের ব্যবহার্য সুইমিং পুল আর সিটি লাইব্রেরির শাখা। শিশুদের এলাকাটি ছিলো স্পষ্টই অত্যন্ত স্বাভাবিক প্রয়োজনীয় অংশ, আর আমার জন্য বরাদ্দকৃত স্থানে ছিলো আমার প্রত্যাশারও বেশি সংখ্যক পুস্তক। এর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বইটি ছিলো ব্রেমসের ‘প্রাণী জীবন’।

প্রায় প্রতিদিনই আমি লাইব্রেরিতে যেতাম তবে তা ব্যাপক অর্থে কোনো ঝামেলামুক্ত জায়গা ছিলো না। অনকে সময় এমনও হতো যে, আমি সেখান থেকে যে বই ধার নিতে চাইতাম তা লাইব্রেরিয়ান মহিলা মোটেই আমার বয়সের উপযোগী মনে করতেন না। এরকম একটি বই ছিলো নোট হলমবোয়ের মারাত্মক প্রামাণ্য চিত্র--- ‘দ্য ডিসার্ট ইজ বানিং’।

‘‘ কে এই বই নিতে চায়?
  আমি...
  ওহ কখনো না...
  আমি নিতে চাই...
  তুমি তোমার বাবাকে এসে বইটা নিয়ে যেতে বলো। ’’

এর থেকেও বিব্রতকর অবস্থা আমার জন্য অপেক্ষা করতো যখন আমি বড়দের সেকশনে যেতাম। আমি এমন একটা বই খোঁজ করছিলাম যা ছোটদের সেকশনে ছিলো না কোথাও। যাওয়ার পথেই দরজায় আমি থমকে দাঁড়িয়ে পড়লাম।
‘‘ তোমার বয়স কত?’’
‘‘এগারো’’
‘‘তুমি এখান থেকে বই পেতে পারো না। কয়েক বছর পর তুমি এসো, তখন বই পাবে’’।
‘‘ঠিক আছে, কিন্তু আমি যে-বইটা চাচ্ছি, তা তো এখানেই রয়েছে’’।
‘‘কী বই’’
‘‘স্ক্যান্ডেনেভিয়ার প্রাণীজগত : তাদের অভিবাসী জীবন’’, ‘‘ এটা একমেনের লেখা’’ আমি নিঃশেষিত স্বরে বলি, আর ভাবি যে, কখনোই সে-মহিলাকে আমি ক্ষমা করবো না।

ঠিক তখনি আমার এলোফ আঙ্কেল সেখানে এসে উপস্থিত হয়। সে তার কার্ডটি আমাকে দেয় আর আমি এমন ভান করলাম যে যেন তার জন্যই বই ওঠাচ্ছি। আমি যা চেয়েছি তা সহজেই তখন পেয়ে গেলাম এই পদ্ধতিতে, বুদ্ধি খাটিয়ে।

লাইব্রেরির বড়দের সেকশনে আর সুইমিংপুলের মাঝখানে দেয়াল ছিলো। প্রবেশ পথে যে- কেউ এতে বিরক্ত হতো; ভেন্টিলেটার দিয়ে ক্লোরিনের গন্ধ ভেসে আসতো আর দূর থেকে মানুষের কলরোলের প্রতিধ্বনি এসে কানে বাজতো। সুইমিংপুল আর তা মিলে আশ্চর্য শব্দমুখরতা তৈরি হতো। ভালোই ধারণা--- স্বাস্থ্য-মন্দির আর পুস্তক-মন্দিরের এই প্রতিবেশিত্ব। মেডবোরগারহসের সিটি লাইব্রেরির শাখায় বহুদূর আমি বিশ্বস্তভাবে যাতায়াত করেছি।

ডিয়েভাগেনে অবস্থিত কেন্দ্রিয় লাইব্রেরি অপেক্ষাও এই লাইব্রেরিটি উৎকৃষ্ট মর্মে আমার নিকট মনে হয়েছে--- সেখানে পরিবেশ ছিলো ভারি আর চারপাশের বাতাস এখনো ক্লোরিনের গন্ধে আর মানুষের কলকাকলিতে ভারাক্রান্ত নয়। সেখানকার বইগুলোর ছিলো এক অদ্ভুত গন্ধ,--- এতে আমার মাথা ধরে যেত।

লাইব্রেরির এই দীর্ঘ দৌড় শেষে আমি গল্পবহির্ভূত বই পড়ার প্রতি মনোযোগ নিবদ্ধ করলাম। সাহিত্যকে আমি তার আপন ভাগ্যের উপরই ছেড়ে দিলাম। বইয়ের তাকগুলো অর্থনীতি আর সামাজিক সমস্যা-সংক্রান্ত পুস্তকে ভরে উঠলো। ইতিহাস খুবই আকর্ষণীয় বিষয় ছিলো; আর চিকিৎসা শাস্ত্র ছিলো ভীতিকর।

কিন্তু ভূগোল ছিল আমার সবচেয়ে প্রিয়। আফ্রিকার ওপর ছিলো আমার দুর্নিবার আকর্ষণ।


[চলবে]

স্মৃতির চাহনি : একটি স্মৃতিলেখ [কিস্তি-১]

বাংলাদেশ সময় ১৮০০, অক্টোবর ১৩, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।