ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

শিল্প-সাহিত্য

কবি অ্যাডোনিস পেলেন গ্যেতে পুরস্কার

শিল্প-সাহিত্য ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৩৮ ঘণ্টা, মে ২৬, ২০১১
কবি অ্যাডোনিস পেলেন গ্যেতে পুরস্কার

সিরীয় কবি অ্যাডোনিস পেলেন জার্মানির গুরুত্বপূর্ণ গ্যেতে পুরস্কার। মধ্যপ্রাচ্যে তিন তার গণতন্ত্র এবং ধর্মনিরপেক্ষতাবিষয়ক চিন্তাকে সবকিছুর ঊর্ধ্বে তুলে ধরেন।

২৫ মে ঘোষণা করা হয় এ পুরস্কারপ্রাপ্ত কবির নাম।

অ্যাডোনিসকে পুরস্কার প্রদান প্রসঙ্গে জার্মান সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘নির্বাচকম-লী অ্যাডোনিসকে তার সময়ের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কবি হিসেবে মূল্যায়ন করে এবং কসমোপলিটনের ওপর তার কাজ ও আন্তর্জাতিক সাহিত্যে তার অবদানের কথা বিবেচনা করে এ পুরস্কারের জন্য নির্বাচন করা হয়। ’

এ পুরস্কারের আর্থিক মূল্য ৫০,০০০ ইউরো (৭০৩২০ মার্কিন ডলার)। গ্যেতে পুরস্কার প্রদান করা হয় প্রতি তিন বছর পর পর। ২৮ আগস্ট গ্যেতের শহর ফ্রাঙ্কফুর্টে একটি উৎসবের মাধ্যমে এ পুরস্কার প্রদান করা হবে।  

অ্যাডোনিসের নামে এ পুরস্কারের ঘোষণা হলো এমন এক সময়, যার অল্পকিছু কাল আগেই গণআন্দোলনে তিউনেশিয়া ও মিশরের স্বৈরশাসনের পতন হয়েছে। এর প্রভাব অ্যাডোনিসের দেশ সিরিয়াকেও প্রভাবিত করেছে। সিরিয়ায় সম্প্রতি স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে কয়েক শ লোককে হত্যা করা হয়েছে। আশা করা যাচ্ছে অ্যাডোনিসের এ পুরস্কারপ্রাপ্তি সিরিয়ার গণআন্দোলনকেও প্রভাবিত করবে।

তিন সপ্তাহ আগে অ্যাডোনিস আরব শাসকদের সম্পর্কে বলেছেন, ‘আরবের  শাসকরা আমাদের ক্রমশ পেছনের দিকে নিয়ে গেছেন, নানা দুর্ভোগ বয়ে এনে আমাদের অত্যাচার এবং পীড়নের মধ্যে ফেলেছেন। তারা ক্ষমতাকে ব্যবহার করেছেন নিজেদের  ভোগবিলাসে। তারা কোনো সুস্থ সমাজ গড়ে তোলেননি। তারা তাদের দেশকে স্লোগানে স্লোগানে ভরে দিয়েছে কোনো প্রকারের সাংস্কৃতিক এবং মানবিক উপাদান ছাড়াই। ’

অ্যাডোনিস জন্মগ্রহণ করেন সিরিয়ার লাদকিয়া অঞ্চলের কাসাবিন নামক এক প্রত্যন্ত গ্রামে, ১৯৩০ সালে । তার আসল নাম আলি আহমদ সায়িদ আসবার। কবিস্বীকৃতি লাভের আশায় কৈশোরেই তিনি গ্রহণ করেছিলেন গ্রিক পুনর্জন্মের দেবতা ‘অ্যাডোনিস’-এর নাম। জীবনের নানা চরাই-উৎরাই পাড়ি দিয়ে গত কয়েক দশক ধরে থিতু হয়েছেন ইউরোপের শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতির কেন্দ্রভূমি প্যারিসে।

অ্যাডোনিস ২০০৫ সালে নোবেল সাহিত্য পুরস্কারের জন্য শর্ট লিস্টেড হয়েছিলেন, যদিও এ পুরস্কার তিনি পাননি। তবে এযাবৎ ভূষিত হয়েছেন বহু মূল্যবান পুরস্কারে। তাঁর উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থের মধ্যে রয়েছে : দামেস্কের মিহিয়ার (১৯৬১), ছাই ও গোলাপের মধ্যবর্তী সময় (২০০৪), কেবল যদি সমুদ্র ঘুমাতে পারতো (২০০৩), দিবারাত্রির পাতা (২০০১), অ্যাডোনিসের রক্ত (১৯৭১), মানচিত্রের শিকার (১৯৮৪)।  

বাংলাদেশ সময় ২০৩২, মে ২৬, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।