ঢাকা, শনিবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

শিল্প-সাহিত্য

পিয়াস মজিদের কবিতা

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৪০ ঘণ্টা, এপ্রিল ২২, ২০১১
পিয়াস মজিদের কবিতা

ঝিলমিল

এ শহর
কানাগলি থেকে রাজপথ।
ময়ূর নেই একফোঁটা
এখানকার
সকাল
বিকেল
আর সন্ধ্যাছায়া
গুচ্ছ গুচ্ছ
কেকারঞ্জিত।



রূপকথা

ঢং ঢং
তারাঘণ্টার
স্বাতী আর অরুন্ধতি শব্দসব
ঝরে পড়ি।
এমন মুহুর্মুহু রাত্রিপাতে
শ্রাবণসিঁড়ি ভেঙে যায়
জলপ্রাসাদের সম্মুখেই।
ডাইনি-রাগিণী
এই ঘুমন্ত পুরীতে
আজ জাগ্রত সুরবাহার।
আর তোমার অঝোর নৃত্যকলায়
আমি কেবল কালো নূপুর;
আসন্ন ভোর।

 

নৈশ ডাকঘর

কোথায় পাওয়া যায় নৈশ ডাকঘর?
বেছে বেছে ব্যথাগুলো
যেখানে আমার জন্য রেখে গেছে
সুনীল হরকরা।
চিঠি খুলে শুধু ব্যথা নয়,
পড়ি আরও বহুকিছু।
এই যেমন- শোভাবাজার রাজবাড়ি।
পুরানা কোঠা,
জাফরিকাটা জানলা
বাহারি সব পায়রার কবর
ভেদ করে নাও বেয়ে চলেছে
কোথায় শাওন রাত!
সোয়াশ বছর আগের এক
অপমৃতা বাইজির গোলাপি ঘ্রাণ
টেনেহিঁচড়ে আমাকে রাজবাড়ি থেকে
নিক্ষেপ করল ওই ডাকঘরের সামনে।
তারপর টানা এক ঘুম। ট্রমার মতন কিছু।
জেগে দেখি প্রিয় ডাকঘরটা উধাও।
তবে ইতি-উতি খুঁজতে একটা চিঠির দেখা পাওয়া গেল।
তার অপমরণের সম্পূর্ণ দায় আমার উপর চাপিয়ে গেছে
অচেনা-অদেখা বাইজি।
চিঠির উত্তর লিখতে বসি।
মুহূর্তেই হুড়মুড় করে আমার উপর ভেঙে পড়ে
বিশাল প্রাসাদের অবকাঠামো।
অন্ধ হয়ে গিয়েও আমি বুঝি এটা
শোভাবাজার রাজবাড়ি।
শ্যাওলাপড়া নারীকণ্ঠে মনে হয়
সেই বাইজিই বলছে,
কোথায় পাওয়া যায় একটা নৈশ ডাকঘর?
সারাদিন আমি কারো উত্তরের অপেক্ষায়

 
রাগিণী

আমার কবর
আনন্দভৈরবী।

যখন
মাতৃজঠরে পড়ে
ঘন
গরাদের
ছায়া।


বিধুর

আষাঢ়, আষাঢ়
সব কলস ভরা।
আর তুমি
জলনূপুরে,
উজ্জয়িনীর দিকে।

তোমার
পায়ের পথে
একজন;
রোদে পুড়ে
খাক হওয়া
করুণ মল্লার।



বাংলাদেশ সময় ১৩২১, এপ্রিল ২২, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।