খোন্দকার আশরাফ হোসেন
বয়েসে প্রবীণ ছিলেন, তবুও ছিলেন অটুট আমাদের আশির দশকে
এতো জল জমা ছিল ‘তিন রমণীর কাসিদা’য়
জানা হলো মৃত্যুর অনন্ত লহমায়।
ভালোবাসা, সে-তো শুধু মদির অশ্রুময় নির্জলা চুমুক
চৈতন্যের খণ্ড খণ্ড পরিণতি ছাড়া আর কিছু নয়:
আপনার সর্বাঙ্গেই লেগে আছে কৌম সময়ের শ্যাওলার মতো-
ঐতিহ্য পোড়ানো গন্ধসূত্রে অকৃত্রিম উত্তরাধিকার।
ঋতুর রহস্যভেদে পাখিরা বিভোর গ্রহণে প্রহরে
চৌচির উন্মাদ হাসি নগরের দেওয়ালে দেওয়ালে:
মিলায় রাতের রেখা চাঁদের শেকলে
অনন্ত জোছনা-রঙা অম্ললাগা তামার শিয়রে...
কেউ কোনো প্রশ্ন করার আগেই এক মুখ প্রাজ্ঞতায়
শত-মুখ বন্ধ হয়েছে চৌকস বয়ানে বয়ানে।
একুশ শতক, তোমাকে আগেই ‘একবিংশ’ নামের মুদ্রিত শরীরে
নিয়ে এসেছিলেন আশির কবি খোন্দকার আশরাফ।
বিবাগী উত্তরে ব্রহ্মপুত্র মৌলরূপে আপনার নাম ধরে ডাকে
স্রোতে ও যৌবনে: শহর-সত্ত্বায় বাস করা তার উত্তরাধুনিক বাউলকে...
খোন্দকার আশরাফ হোসেন সতত নদী ও মৃত্তিকা পুঁজি করে
কবিতার নীল নিবিড়তা ছুঁতে চেয়েছেন
কালে কালে একবিংশে অনন্তে...
বাংলাদেশ সময: ২০৩২ ঘণ্টা, জুন ১৭, ২০১৩