ঢাকা, শনিবার, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

শিল্প-সাহিত্য

ফিরে পাওয়া গেল হুমায়ূন আহমেদের আঁকা নিখোঁজ সেই চিত্রকর্ম

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১২০ ঘণ্টা, আগস্ট ২৩, ২০২৩
ফিরে পাওয়া গেল হুমায়ূন আহমেদের আঁকা নিখোঁজ সেই চিত্রকর্ম কবি হুমায়ূন আহমেদের নিখোঁজ সেই চিত্রকর্ম।

ঢাকা: বাংলা সাহিত্যের জনপ্রিয় লেখক, নাট্যকার ও চলচ্চিত্রকার প্রয়াত হুমায়ূন আহমেদের পরিবার অবশেষে ফিরে পেয়েছেন তার আঁকা নিখোঁজ সেই চিত্রকর্ম।  

জনপ্রিয় ওই কিংবদন্তি মৃত্যুর আগে যুক্তরাজ্যে চিকিৎসাধীন থাকাকালীন ২০১২ সালে ছেলে নিসাত হুমায়ূনের সঙ্গে সময় কাটানোর মধ্যে এঁকেছিলেন ২৪টি চিত্রকর্ম।

চিত্রকর্মগুলো এঁকেছিলেন নিউ ইয়র্কবাসী রুমা চৌধুরী ও বিশ্বজিৎ সাহা দম্পতির অনুরোধে নিউ ইয়র্ক বইমেলায় প্রদর্শনের জন্য তাদের জিম্মায় দেওয়া হয়। শর্ত ছিল প্রদশর্নী শেষে চিত্রকর্মগুলো ফেরত নিজ দায়িত্বে ফেরত দেওয়া হবে।

পরর্বতীতে প্রয়াত হুমায়ূন আহমেদ পরলোকগমন করলে, তার পরিবারের পক্ষ থেকে অনেকবার যোগাযোগ করা হলে রুমা চৌধুরী ২৪টি চিত্রকর্মের মধ্যে ২০টি চিত্রকর্ম প্রয়াত লেখকের মা আয়েশা ফয়েজকে ২০১৩ সালে ফেরত দেন।
 
প্রায় এক যুগ পর হঠাৎ করে নিখোঁজ হওয়া একটি চিত্রকর্ম কুমিল্লায় একটি প্রদর্শনীতে প্রদর্শিত হবে বলে জানা গেল। যা হুমায়ূন আহমেদের পরিবারের সদস্য, তার ভক্ত ও সবার মধ্যে কৌতূহলের সৃষ্টি করে।
 
পরর্বতীতে ওই একটি নিখোঁজ হওয়া চিত্রকর্ম উদ্ধারের জন্য আদালতের শরণাপন্ন হন প্রয়াত লেখকের স্ত্রী মেহের আফরোজ শাওন। তিনি বাদী হয়ে ঢাকার সিএমএম আদালতে মামলা করেন। আদালত মামলা আমলে নিয়ে পিবিআইকে তদন্তভার দেয়। পিবিআই কুমিল্লা থেকে ওই চিত্রকর্মটি উদ্ধার করা হয়। পরে সেটি আদালতে জমা দেওয়া।  

প্রায় দুই বছর মামলার কার্যধারা চলার পর সিএমএম আদালত ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরী ওই উদ্ধারকৃত তৈল চিত্রটি বাদীর কাছে ফেরত দেওয়া সাপেক্ষে আসামিদের অব্যাহতির আদেশ প্রদান করেন। পরে আদালত সংশ্লিষ্ট মালখানা ২২ আগস্টে তৈলচিত্রটি হুমায়ূন আহমেদের পরিবারকে তৈলচিত্রটি ফেরত দেন বলে নিশ্চিত করেছেন কবির পরিবারের পক্ষে নিযুক্ত আইনজীবী ব্যারিস্টার হামিদুল মিসবাহ। তৈলচিত্রটি আদালত থেকে নেন অ্যাডভোকেট গাজী মাহবুব আলম ও অ্যাডভোকেট শিহাব উদ্দিন।  

এই প্রসঙ্গে প্রয়াত লেখকের স্ত্রী মেহের আফরোজ শাওনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে জানান যে, নিখোঁজ হওয়া তৈলচিত্রটি ফিরে পেয়ে আমরা খুশি, এবং আদালতের হস্তক্ষেপে বিষয়টি সুরাহা হওয়ার ফলে আমরা ন্যায়বিচার পেয়েছি। তৈলচিত্রটি ফিরে পাওয়াই ছিল আমাদের উদ্দেশ্য, তবে কাউকে দোষী শাব্যস্ত করা নয়। আমরা আদালত, পিবিআইর কর্মকর্তারা ও আইনজীবীদের প্রতি কৃতজ্ঞ।

বাংলাদেশ সময়: ২১২০ ঘণ্টা, আগস্ট ২৩, ২০২৩
এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।