ঢাকা, সোমবার, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ২০ মে ২০২৪, ১১ জিলকদ ১৪৪৫

রাজনীতি

বিএনপি নেতা-কর্মীদের ওপর যুবলীগের হামলার অভিযোগ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৫২ ঘণ্টা, জুন ২১, ২০২০
বিএনপি নেতা-কর্মীদের ওপর যুবলীগের হামলার অভিযোগ

ঢাকা: সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলা যুবলীগের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে ঘূর্ণিঝড় আম্পানে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ করতে যাওয়ার পথে জেলা ও উপজেলা বিএনপির নেতা-কর্মীদের ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে।

রোববার (২১ জুন) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার কাতখালী ব্রিজের পাশে তাদের ওপর প্রথম দফা হামলার ঘটনা ঘটে। এসময় বিএনপির স্থানীয় কিছু নেতা-কর্মীকে মারধরসহ বেশকিছু মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়।

পরে সকাল ১০টার দিকে উপজেলার নকিপুর এলাকায় সরকার দলীয় সংসদ সদস্যের বাড়ির সামনের রাস্তায় জেলা বিএনপির নেতাদের ওপর পুনরায় হামলা করে উপজেলা যুবলীগের নেতা-কর্মীরা। এতে বিএনপির বেশ কিছু নেতা-কর্মী আহত হন। ভাঙচুর করা হয় জেলা বিএনপির নেতাদের বহনকারী মাইক্রোবাসটি।

শ্যামনগর উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক সোলায়মান কবীর বাংলানিউজকে জানান, ঘূর্ণিঝড় আম্পানে ক্ষতিগ্রস্ত উপজেলার কাশিমাড়ীর ৪০০ পরিবারের মধ্যে খাদ্য সহায়তা পৌঁছে দিতে রোববার সকালে শ্যামনগরে পৌঁছান জেলা বিএনপির নেতারা। এক পর্যায়ে কাশিমাড়ী প্রবেশের পূর্ব মুহূর্তে জেলার নেতারাসহ তারা হামলাকারীদের দ্বারা আক্রান্ত হন।

তিনি আরও জানান, হামলার ঘটনায় শ্যামনগর উপজেলা যুবদল সভাপতি আজিবর রহমান, সাধারণ সম্পাদক সফিকুল ইসলাম দুলু, আনিছ, মোক্তার, সালাম, মিঠু, ছাত্রদল নেতা মাসুদ ও রাসেলসহ অন্তত ৩০ জন নেতা-কর্মী আহত হন।  

এদিকে সাতক্ষীরা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সৈয়দ ইফতেখার আলী বাংলানিউজকে জানান, আম্পানে ক্ষতিগ্রস্ত কাশিমাড়ীতে যাওয়ার পথে স্থানীয় সংসদ সদস্যের বাড়ির কাছে পৌঁছালে তারা হামলার শিকার হন।

জেলা বিএনপির এ শীর্ষ নেতার অভিযোগ, স্থানীয় সংসদ সদস্য এসএম জগলুল হায়দারের ছেলে উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক রাজিব হায়দারের নেতৃত্বে তার চাচাত ভাই ফেরদাউস হোসেনসহ ১৮-২০ জন তরুণ লাঠিসোটা নিয়ে সরাসরি হামলায় অংশ নেন।

তিনি আরও অভিযোগ করেন, হামলার ঘটনায় স্থানীয় বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের অন্তত ৩০ জন নেতা-কর্মীসহ তার সঙ্গে থাকা জেলা যুবদলের সভাপতি আবু জাহিদ ডাবলু, সাধারণ সম্পাদক হাফিজুর রহমান মুকুল ও স্বেচ্ছাসেবক দল সভাপতি সোহেল আহমেদ মানিকসহ বেশ কয়েকজন নেতা আহত হন।  

এ ব্যাপারে স্থানীয় সংসদ সদসের‌্যর ছেলে যুবলীগ নেতা রাজিব হায়দার ঘটনার সঙ্গে নিজে সম্পৃক্ত থাকার বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, এমন ঘটনার কথা শুনে আমার চাচা আমাকে ঘরে আটকে রাখেন। তবে, শুনেছি তারা এলাকায় ত্রাণ দিতে গিয়ে করোনার সময় হৈ-হুল্লোড় করায় স্থানীয়রা ক্ষেপে গিয়ে তাদের ওপর হামলা চালায়।  

এ ব্যাপারে শ্যামনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হুদা বাংলানিউজকে জানান, তিনি এ ধরনের একটি ঘটনা ফোনে শুনেছেন। সকাল থেকে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে মিটিংয়ে থাকায় বিস্তারিত জানেন না। পরে জেনে জানাবেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৫০ ঘণ্টা, জুন ২১, ২০২০
এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।