ঢাকা, শনিবার, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১১ মে ২০২৪, ০২ জিলকদ ১৪৪৫

রাজনীতি

নথি হাইকোর্টে এলে খালেদার জামিনের ওপর আদেশ

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯৪৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০১৮
নথি হাইকোর্টে এলে খালেদার জামিনের ওপর আদেশ

ঢাকা: নিম্ন আদালতের যে নথি ১৫ দিনের মধ্যে চাওয়া হয়েছে, সে নথি আসার পর বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিন আবেদনের ওপর আদেশ দেবেন হাইকোর্ট।

জামিন আবেদনের ওপর তিন পক্ষের শুনানি শেষে রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

গত ২২ ফেব্রুয়ারি (বৃহস্পতিবার) বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে খালেদার আইনজীবীদের আবেদন শুনানির জন্য গ্রহণ করেন হাইকোর্ট।

সেদিন খালেদার জরিমানা স্থগিত করে বিচারিক আদালতের নথি ১৫ দিনের মধ্যে হাইকোর্টে পাঠানোর আদেশ দেন। ওইদিন জামিন শুনানির জন্য রোববার দিন ধার্য করা হয়।

আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। মামলার বাদী দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।

শুনানিতে এ জে মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘এখানে সংক্ষিপ্ত সাজা। আদালতের রেওয়াজ আছে জামিন পেতে পারেন। এছাড়া তিনি বয়স্ক নারী। ’

খুরশীদ আলম খান বলেন, ‘সংক্ষিপ্ত সাজায় জামিন পেতে পারেন, এটা কোনো যুক্তি হতে পারে না। এছাড়া তিনি যে অসুস্থ, সেটার স্বপক্ষে কোনো মেডিকেল সার্টিফিকেট দেওয়া হয়নি। এ মামলায় আপিল শুনানির জন্য প্রস্তুত হতে পারে। ’জামিন আবেদনের ওপর হাইকোর্টের আদেশের পর বিএনপির আইনজীবীদের বিক্ষোভ।  ছবি: বাদলমাহবুবে আলম বলেন, ‘২০০৮ সালের মামলা। ২৩৭ কার্যদিবসে তিনি ১০৯ বার বিভিন্ন অজুহাতে সময় নিয়েছেন। এছাড়া ২৬ বার উচ্চ আদালতে এসেছেন। মোট কথা নয় বছরের মতো মামলাটি চলছে। সুতরাং এখানেও দেরি হবে না, তা বলা যায় না। তাই আপিল শুনানির জন্য এক মাসের মধ্যে পেপারবুক প্রস্তুত হতে পারে। যেমন বিডিআর মামলায় হয়েছিলো। আমাদের কোর্টের সে প্রযুক্তি আছে। ’

আদালত শুনানি শেষে নিম্ন আদালতের নথি আসার পর জামিন আবেদনের ওপর আদেশের জন্য সময় নির্ধারণ করেন।   

জামিনের জন্য খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা ৩২টি যুক্তি দেখিয়েছেন। যুক্তিতে বলা হয়, আবেদনকারীর বয়স ৭৩ বছর। তিনি শারীরিকভাবে বিভিন্ন জটিলতায় ভুগছেন। ৩০ বছর ধরে গেঁটে বাত, ২০ বছর ধরে ডায়াবেটিস, ১০ বছর ধরে উচ্চ রক্তচাপ ও রক্তে আয়রন স্বল্পতায়ও ভুগছেন তিনি।

তাছাড়া ১৯৯৭ সালে তার বাম হাঁটু প্রতিস্থাপন করা হয়েছে এবং ডান পায়ের হাঁটু ২০০২ সালে প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। শারীরিক এসব জটিলতার কারণ বিবেচনায় নিয়ে তার জামিন মঞ্জুরের আবেদন জানানো হয়।  

গত ২০ ফেব্রুয়ারি বিকেলে খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ আবেদন দায়ের করেন।  

এর আগে, ৮ ফেব্রুয়ারি বকশীবাজারে কারা অধিদফতরের প্যারেড গ্রাউন্ডে স্থাপিত ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক ড. মো. আখতারুজ্জামান মামলাটিতে খালেদা জিয়ার ৫ বছর কারাদণ্ড দেন। একইসঙ্গে বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান ও খালেদাপুত্র তারেক রহমানসহ অপর পাঁচ আসামির ১০ বছর করে কারাদণ্ড দেন।

রায় ঘোষণার ১১ দিন পর ১৯ ফেব্রুয়ারি বিকেলে খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা রায়ের সার্টিফায়েড কপি বা অনুলিপি হাতে পান। সাজা ঘোষণার পর থেকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডের পুরাতন কেন্দ্রীয় কারাগারে রাখা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০১৮
ইএস/এইচএ/

** হাইকোর্টে চলছে খালেদার জামিন শুনানি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।