ঢাকা, বুধবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

আওয়ামী লীগ

বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে রাজনীতি করেছেন, এতেই তৃপ্ত ছিলেন বাবা

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৬৪৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৬, ২০১৭
বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে রাজনীতি করেছেন, এতেই তৃপ্ত ছিলেন বাবা সাংবাদিকদের ব্রিফ করছেন ছায়েদুল হকের ছেলে ডা. এ এস এম রায়হানুল হক। ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: সদ্যপ্রয়াত মন্ত্রী মোহাম্মদ ছায়েদুল হকের স্মৃতিচারণ করে তার ছেলে ডা. এ এস এম রায়হানুল হক বলেছেন, ‘বাবা বঙ্গবন্ধুর সান্নিধ্য পেয়েছেন। তার কন্যা শেখ হাসিনার মন্ত্রিপরিষদে ছিলেন। এতেই তিনি তৃপ্ত ছিলেন। আমার বাবার আর কোনো শেষ ইচ্ছে ছিলো না।’

শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে (পিজি হাসপাতাল) সাংবাদিকদের ব্রিফ করার সময় এ কথা বলেন তিনি। সকাল ৮টা ৩৯ মিনিটে হাসপাতালটিতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী ছায়েদুল হক।

ডা. রায়হানুল হক বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পাশে থেকে বাবা রাজনীতি করেছেন। তার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে রাজনীতি করেছেন। তার দেওয়া সব দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করেছেন। প্রধানমন্ত্রী তাকে মন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়ার পর নির্দেশনা মতো কাজ করেছেন বাবা। এগুলোই তার বড় পাওয়া। রাজনীতি করে দেশের উন্নয়নে অংশ নেওয়া তার তৃপ্তির জায়গা। তার শেষ ইচ্ছে বলতে আর কিছু ছিলো না। ’
 
মন্ত্রী মোহাম্মদ ছায়েদুল হক (ফাইল ফটো)
মন্ত্রীর নির্বাচনী এলাকাসহ নিজের কর্মক্ষেত্রে তার অবদানের কথা তুলে ধরে ডা. রায়হানুল হক বলেন, ‘বাবা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে দু’টি রাস্তার কাজ শুরু করেছিলেন। এখনো শেষ হয়নি। রাস্তা দু’টি হলে জনগণ সুবিধা ভোগ করবে। আমার বাবার সময়ে দেশ মাছ উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছে। ইলিশ মাছ ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। ’
 
এর আগে মন্ত্রীর মরদেহ দেখতে এসে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহনমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘অনেকে ক্ষমতা পেয়ে অপব্যবহার করেন। কিন্তু তিনি তা করেননি। তিনি আজীবন সৎ ছিলেন। তার মৃত্যুতে আমরা সবাই শোকাহত। ’
 
ছায়েদুল হকের মরদেহ শনিবার পিজি হাসপাতালেরই হিমঘরে রাখা হবে। রোববার (১৭ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টায় তার মরদেহ জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় নেওয়া হবে। সেখানে প্রথম নামাজে জানাজা শেষে মরহুমের মরদেহ হেলিকপ্টারযোগে তার জন্মস্থান ও নির্বাচনী এলাকা নাসিরনগরে নেওয়া হবে। সেখানে আশুতোষ পাইলট হাইস্কুল মাঠে সকাল ১১টায় দ্বিতীয় নামাজে জানাজা হবে। পরে নেওয়া হবে তার নিজ গ্রাম পূর্বভাগে। সেখানে বাদ জোহর তৃতীয় জানাজা শেষে মা-বাবার কবরের পাশে দাফন করা হবে ছায়েদুল হককে।

বাংলাদেশ সময়: ১২৩৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৬, ২০১৭
এমএইচ/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।