ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

অফবিট

প্রাণির বাসযোগ্য আরেক গ্রহ মহাকাশে!

ফিচার ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪২৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ২১, ২০১৭
প্রাণির বাসযোগ্য আরেক গ্রহ মহাকাশে! এলএইচএস ১১৪০বি

প্রাণির বাসযোগ্য, আলো-পানি-মাটি আর বাতাসের আরেকটি পৃথিবীসম গ্রহের খবর শুনতে ভালোই লাগে। ক্রমেই বাসের অযোগ্য হয়ে ওঠা এই গ্রহের মানুষগুলো নতুন স্বপ্নে বিভোর হতেই পারেন। 

আর সে জন্য বুঝি মহাকাশ বিজ্ঞানীদের চেষ্টার শেষ নেই। এইতো গেলো বছর একটি সুপার-আর্থের সন্ধান দিলেন।

বললেন, এমন এক গ্রহ তারা মহাকাশে দেখতে পেয়েছেন যার অাধেকটা গলিত লাভার, আধেকটা পাথুরে এক জগত। ঠিক পৃথিবীর মতো।  

এখান থেকে মোটেই ৪০ আলোক বর্ষ দুরের, আর আমাদের গ্রহটির প্রায় দ্বিগুন বড় সে গ্রহের খবর বিজ্ঞানীরা দিয়েছেন এক বছর আগে।  

এবার এলো আরও এক গ্রহের খবর।  

হার্ভার্ডের স্মিথসোনিয়ান সেন্টার ফর অ্যাস্ট্রোফিজিকস (সিএফএ)’র গবেষকরা ঘোষণা করেছেন তারা আরেকটি আনকোরা সুপার-আর্থের সন্ধান পেয়েছেন যা চিহ্নিত করা হয়েছে এলএইচএস ১১৪০বি এই কোড নামে।  

মহাকাশের অতিদূরে এক লালক্ষুদ্র তারকার চারিদিকে ঘুরছে পৃথিবীর মতো বাসযোগ্যতার দূরত্ব বজায় রেখেই। এটি তারকাটি থেকে ৩৯ আলোকবর্ষ দূরে।  

আমাদের সূর্যের চেয়ে সবচেয়ে কাছের তারাটির দূরত্ব ৪.২ আলোকবর্ষ। সুতরাং সহজেই এই নতুন আবিস্কৃত তারকা ও তাকে ঘিরে ঘূর্ণায়মান গ্রহের দূরত্ব অনুমেয়।

সিএফএ’র বিবৃত্তিতে এর পোস্ট ডক্টরাল ফেলো জ্যাসন ডিটম্যান নতুন এই অাবিষ্কার সম্পর্কে লিখেছেন- গত এক দশকে এমন একটা গোছানো গ্রহ আর একটিও দেখেননি।  

তিনি বলেন, ‘আমাদের অনুসন্ধানের একটি বড় দিক যখন পৃথিবীর বাইরে আর কোথাও প্রাণের অস্তিত্বকে ঘিরে তখন এমন একটি আবিষ্কারকে আমরা বিজ্ঞানের বড় আবিষ্কারগুলো একটি হিসেবে ধরতেই পারি। ’ 

এলএইচএস ১১৪০বি’র খোঁজটি মিলেছে ট্রানজিট পদ্ধতির মহাকাশ অনুসন্ধানে। এই পদ্ধতিতে কোনও একটি গ্রহ যখন অতিক্রম করে কিংবা দিক বদল করে তখন তারকাটির আলো কিছুটা ক্ষীণ হয়ে আসে। এছাড়াও এর সামনের দিকটা পৃথিবীর মতোই। গবেষকরা ধারণা করছেন এই গ্রহটির ব্যাস ১১ হাজার মাইল হতে পারে।

চিলিতে বসানো এমআর্থ-সাউথ টেলিস্কোপ এই এলএইচএস ১১৪০বি প্রথম শনাক্ত করে। এরপর আটটি টেলিস্কোপ বসিয়ে খর্বাকায় তারকাটির ওপর নজর রাখতে শুরু করেন গবেষকরা। তারা পর্যবেক্ষণ করতে থাকেন একে ঘিরে ঘূর্ণায়মান গ্রহগুলোর ওপর।
 
গ্রহটির ধরণ ধারন পৃথিবীর মতো এমনটা নিশ্চিত হয়ে এখন সেখানকার পরিবেশটা কেমন তা নিজের জানার চেষ্টায় রয়েছেন গবেষকরা। আর আশা করছেন এখানকার পরিবেশও পৃথিবীর মতো প্রাণির বাসযোগ্য হবে।

প্রথমে তারা দেখছেন ওখানে পানির কোনও অস্তিত্ব রয়েছে কিনা। তাহলেই মিলবে অক্সিজেনের সন্ধান। আর অক্সিজেন থাকলে প্রাণির অস্তিত্ব থাকতেই পারে।  

বাংলাদেশ সময় ২০১৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ২১, ২০১৭
এমএমকে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।