ঢাকা, রবিবার, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

নগরে অনলাইনে কোরবানির পশু কেনায় আগ্রহ, উল্টো চিত্র মফস্বলে

158 | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮৫৩ ঘণ্টা, জুলাই ১৬, ২০২০
নগরে অনলাইনে কোরবানির পশু কেনায় আগ্রহ, উল্টো চিত্র মফস্বলে

বরিশাল: আসন্ন ঈদুল আজহার সময় যত ঘনিয়ে আসছে কোরবানির পশুকে ঘিরে খামারি ও গৃহস্থালি থেকে শুরু করে গ্রামের হাট-বাজারে শুরু হয়েছে ব্যস্ততা।

তবে এবার করোনার কারণে সরকারের আহ্বানে অনলাইনে কোরবানির পশু বিক্রির কার্যক্রম শুরু হয়েছে।  

খামারি, পাইকার পশু বিক্রেতা ও ক্রেতারা বলছেন, মফস্বলে বিশেষ করে গ্রামীণ জনপদে অনলাইনে কোরবানির পশু বেচা-কেনা তেমন একটা জমজমাট হবে না।

কারণ কোরবানির পশু দেখে-শুনে কেনাটা এ অঞ্চলের মানুষের চিরাচরিত অভ্যাস।

তাই করোনা ভাইরাস সংক্রমণের চলমান পরিস্থিতিতে পশুর হাটকে ঘিরে স্বাস্থ্যবিধি জোরদার করার তাগিদ দিয়েছেন ক্রেতা-বিক্রেতারা। পাশাপাশি স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে স্বাস্থ্য ও প্রাণিসম্পদ বিভাগকে সমন্বিত উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান তাদের।

নগরকেন্দ্রীক কিছু মানুষ অনলাইনে পশু কেনায় আগ্রহ প্রকাশ করলেও বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এর উল্টো চিত্র দেখা যাবে উল্লেখ করে বরিশাল নগরের অক্সফোর্ড মিশন রোডের বাসিন্দা আব্দুর রহিম বলেন, কোরবানির পশু প্রতিবছরই দেখে শুনে কিনি, এক্ষেত্রে হাটে যেতেই হয়। আর করোনা পরিস্থিতিতে অনলাইনে পশু বিক্রির উদ্যোগটি ভালো হলেও এখানে এটি এর আগে হয়নি। এবার প্রথমবারের মতো প্রচারণার মধ্য দিয়ে শুরু হচ্ছে। হাটে গিয়ে পশু নিজে দেখে শুনে কেনার অভ্যাস দীর্ঘদিনের। তাই এবারও হাটেই যেতে চাই।

নগরের সিকদার পাড়ার আরিফুর রহমান বলেন, পশুর নানা ধরনের সমস্যা থাকতেই পারে, যা সরাসরি না দেখে বোঝার উপায় নেই। তারপরে মফস্বলে যারা খামার বা গৃহস্থলি পর্যায়ে পশু লালন-পালন করেন তারাও তো অনলাইনের বিষয়ে সেভাবে পারদর্শী নন। সেক্ষেত্রে ক্রেতা-বিক্রেতারা হাটের ওপর গুরুত্ব দেবেন বলে মনে করেন তিনি। আর এজন্য পশুর হাটকে ঘিরে স্বাস্থ্যবিধি জোরদার করা প্রয়োজন বলেও মনে করেন তিনি।
হাটে গিয়ে পশু কেনা একটি ঐতিহ্য বলে মনে করেন বরিশালের উজিরপুর উপজেলার হস্তিসুন্ড এলাকার খামারি গিয়াস উদ্দিন সরদার।  

তিনি বলেন, পশুর গায়ে হাত দেওয়া, ভালোভাবে আকার-আকৃতি, স্বাস্থ্য পর্যবেক্ষণ করেই মানুষ কোরবানির পশু কেনেন। এক্ষেত্রে মফস্বলে অনলাইনে কোরবানির পশু ক্রয়ে তেমন কেউ আগ্রহী হবেন বলে মনে হচ্ছে না। তবে এবারে সচেতন মানুষ স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে হাটের থেকেও সরাসরি খামারির খামার ও গৃহস্থের বাড়ি থেকে পশু কেনায় বেশি আগ্রহী হবে বলে মনে করেন তিনি। গরুগুলোকে কোরবানির হাটে নিতে চলছে প্রস্তুতি, ছবি: বাংলানিউজ

সার্বিক বিষয়ে জেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের কর্মকর্তা ডা. মো. নুরুল আলম বলেন, খামারি ও গৃহস্থের পশু বিক্রেতাদের অনলাইনের প্রতি আগ্রহী করার কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। অনলাইনে পশু বিক্রির বিভিন্ন সুবিধাজনক দিক তুলে ধরা হচ্ছে। তবে স্থানীয় মানুষের কোরবানির পশু কেনার অভ্যাস পরিবর্তন করা কঠিন হবে।

উল্লেখ্য, বরিশাল বিভাগীয় প্রাণিসম্পদ দপ্তরের হিসেবে অনুযায়ী, এবারে প্রায় সাড়ে তিন লাখ পশু কোরবানি হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে বরিশাল বিভাগে। এর মধ্যে খামারি ও গৃহস্থলি ব্যতিত ২০-২৫ শতাংশ পশু বাইরের জেলা থেকে আনার প্রয়োজন হবে।

বাংলাদেশ সময়: ০৮৪৪ ঘণ্টা, জুলাই ১৬, ২০২০
এমএস/আরআইএস/
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।