১৯৬০ সালে নওগাঁর সাপাহার উপজেলার গৌরপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। অর্থবিত্তের অভাব ছিল না বাবা গশির উদ্দীন মণ্ডলের।
আব্দুস সামাদ বাংলানিউজকে বলেন, ১৯৯৬ সালে গ্রামের বাড়ি ছেড়ে দুই ছেলে, দুই মেয়ে ও স্ত্রীকে নিয়ে সাপাহার উপজেলা সদরের জয়পুর মাস্টার পাড়ায় বসবাস শুরু করি। এখানে আসার পর প্রথমে বিভিন্ন কাজ করলেও শেষ পর্যন্ত চা বিক্রিকেই পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছি। ছেলে-মেয়েদের বিয়ে হয়ে গেছে। তাদের সবার আলাদা সংসার। কখনো চা-পান বিক্রি করে, আবার কখনো দিনমজুরি দিয়ে কোনো মতে খেয়ে পড়ে বেঁচে আছে তারা।
উপজেলা আওয়ামী লীগের দুঃসময়ে সামনে থেকে দলের জন্য কাজ করেছি। আর আজ আমাকে ফেরি করে চা বিক্রি করে সংসার চালাতে হয়, আক্ষেপ করেন তিনি।
তিনি বলেন, কোনো দিন দলের কোনো সহযোগিতা পাইনি। প্রতিদিন চা বিক্রি করে ২০০ থেকে ৩০০ টাকা আয় হয়, তা দিয়েই বুড়ো-বুড়ির সংসার চলে। বয়সের ভারে এখন আর তেমন চা বিক্রিও করতে পারি না। এবারের আমের মৌসুমে কিছুদিন আম বাগানে দিনমজুর হিসেবে কাজ করেছি। এমন অভাবেও মেলেনি সরকারি বা দলীয় কোনো সুযোগ-সুবিধা।
এরপরও রাজনীতির নেশা কাটেনি। প্রতিদিন বিকেল থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত চা বিক্রি শেষে ঘণ্টা দুই উপজেলা আওয়ামী লীগের অফিসে কাটান আব্দুস সামাদ।
নিজের অভাব ঘোচাতে দলের ঊর্ধ্বতন নেতা ও সরকারি সহযোগিতা কামনা করেছেন তিনি। বলেছেন, একটু সহযোগিতা পেলে স্ত্রীকে নিয়ে শেষ জীবনটা কিছুটা সচ্ছলভাবে কাটাতে পারব।
সাপাহার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কল্যাণ চোধুরী জানান, আব্দুস সামাদকে সরকারি সহযোগিতার আওতায় আনার বিষয়ে উপজেলা প্রশাসনের নজর থাকবে। পাশাপাশি তাকে কীভাবে অর্থিকভাবে সচ্ছল করা যায়, সেদিকটাও দেখা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১০১১ ঘণ্টা, জুলাই ০৩, ২০২০
এসআই