মঙ্গলবার (৯ জুন) সকালে উপজেলার গোপালদী পৌরসভার রামচন্দ্রাদী গ্রামের বাড়িতে আত্মহত্যা করেন তিনি। নিপা স্থানীয় ওয়াদ আলীর স্ত্রী, তার বাবার বাড়ি উপজেলার মাহমুদপুর ইউনিয়নে।
১৪ বছর আগে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় নিপার। গত ৫ বছর আগে তার স্বামী জীবিকার তাগিদে মালয়শিয়া চলে যায়। বর্তমানে সেখানে লকডাউন থাকায় গ্রাম থেকে বিদেশে অর্থ পাঠাতে হতো। পাশাপাশি পরিবার চালাতে ও ঋণ এবং এনজিওয়ের কিস্তি পরিশোধ করতে হতো। গত কয়েকমাস ধরে কিস্তি ও ঋণের টাকা পরিশোধ করতে না পারায় চাপে পড়ে নিপা। সেই চাপ সামলাতে না পেরে তিন সন্তাদের জননী নিপা আত্মহত্যা করেন।
স্থানীয় কাউন্সিলর আলী আজগর জানান, শুনেছি পাওয়া টাকা ও সমিতির কিস্তির টাকা পরিশোধ করতে না পেরে হতাশায় তিনি আত্মহত্যা করেছেন।
গোপালদী পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) মোক্তার হোসেন বাংলানিউজকে জানান, ঋণের চাপে ও কিস্তি পরিশোধ করতে না পারার পাশাপাশি পরিবারের খরচ চালাতে হিমশিম খেয়ে নিপা আক্তার আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছে বলে স্থানীয় ও পরিবার সূত্রে জানা গেছে। পরিবারের সদস্যদের অনুরোধে দুপুরে মরদেহ তাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩০ ঘণ্টা, জুন ০৯, ২০২০
ওএইচ/