শুক্রবার (০৫ জুন) ভোরে তিনি মারা যান। মারা যাওয়া ব্যবসায়ী ইকবাল হোসেন সিলেট নগরের কুমার পাড়ার বাসিন্দা।
মৃত ইকবাল হোসেনের ছেলেন তিহাম হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, সকাল সাড়ে ৭টার দিকে বাবার বুকে ব্যথা ও শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। প্রথমেই নগরের সোবাহানীঘাট এলাকায় অবস্থিত একটি হাসাপাতালে অ্যাম্বুলেন্সের জন্য ফোন দেওয়া হয়। কিন্তু ওই অ্যাম্বুলেন্সে অক্সিজেন সিলিন্ডার সিস্টেম অকেজো ছিল। এ অবস্থায়ই বাবাকে সোবাহানীঘাটের ওই হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে অক্সিজেনের ব্যবস্থার অনুরোধ করলেও কর্তব্যরতরা নিয়মকানুন নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েন।
এক পর্যায়ে তারা বাবাকে রাখবেন না বলে জানিয়ে দেন। এরপর তারা নর্থ ইস্ট হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলে। অনুরোধ করার পরও তারা অক্সিজেনের ব্যবস্থা করে দেননি। পরে বাবাকে নিয়ে দক্ষিণ সুরমার নর্থ ইস্ট হাসপাতালে গেলে সেখানকার কর্তৃপক্ষ জানান তাদের হাসপাতালে সিট নেই। তাই রোগীর চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব নয়। তখন আমরা পরিচিত এক চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করি। ওই চিকিৎসকের পরামর্শে শহীদ ডা. শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালে নিয়ে গেলে সবকিছু বন্ধ পান।
তিনি অভিযোগ করেন, প্রায় ১৫ মিনিট পর এক নিরাপত্তাকর্মী এসে বলেন, হাসপাতালের সবাই ঘুমিয়ে রয়েছে। বাবাকে অন্য কোথাও নিয়ে যেতে বলে। এরপর সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে গেলে তারা সিসিইতে নিয়ে একটি ইসিজি করেন। এরপরই হাসপাতালের ইর্মাজেন্সিতে কর্তব্যরত চিকিৎসক বাবাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ বিষয়ে জানতে শহীদ ডা. শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার (আরএমও) সুশান্ত কুমার মহাপাত্রের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভি করেননি।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৩ ঘণ্টা, জুন ০৫, ২০২০
এনইউ/এনটি