গণ পরিবহনে ৬০ শতাংশ ভাড়া বর্ধিত করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হলেও অনেকেই তা মানছেন না। কোনো কোনো সময় যাত্রীদের কাছ থেকে ১০০ শতাংশ বেশি ভাড়াও রাখা হচ্ছে।
জেলা শহরের পৈরতলা, কাউতলি, ভাদুঘর, মেড্ডা বাসস্ট্যান্ড থেকে প্রতিদিন বিপুল সংখ্যাক গণপরিবহন লোকাল ও দূরপাল্লার যাত্রীবাহী যানবাহন নিয়মিত চলাচল করে।
বিভিন্ন বাসস্ট্যান্ড ঘুরে দেখা গেছে, টিকিট সংগ্রহ করতে যাত্রীরা কাউন্টারে শারীরিক দূরত্ব না মেনে গায়ে গা ঘেঁষে দাঁড়িয়ে টিকিট যুদ্ধে নেমেছেন। অনেকেই আবার অতিরিক্ত ভাড়ার প্রতিবাদ করে পরিবহন সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে পড়েন।
এ সময় কথা হয় যাত্রী পারভেজ মিয়ার সঙ্গে। তিনি বলেন, গত আড়াই মাস ধরে বেকার হয়ে বাড়িতে বসে আছি। দীর্ঘদিন পর লকডাউন শেষে কর্মস্থলে যোগ দিতে ঢাকায় যাচ্ছি। কিন্তু বাসস্ট্যান্ডে এসে দেখি একশ টাকার টিকিট তিনশ টাকা, পাঁচশ টাকার টিকিট এক হাজার টাকা করে নিচ্ছে। আমি সমস্যাটি সমাধানে সরকারের সহযোগিতা কামনা করছি।
মাইক্রোবাসের যাত্রী জনি আলম বলেন, একে তো অতিরিক্ত ভাড়া নিচ্ছে। তার পর গাড়ির ভেতরে শারীরিক দূরত্বের বালাই নেই। উল্টো তিন জনের সিটে চারজন করে যেতে হচ্ছে।
অপর এক যাত্রী খোরশেদ আলম বলেন, পেটের দায়ে ঢাকায় যাচ্ছি। ঘুরতে যাচ্ছি না। এভাবে অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়াটা কোনো যুক্তিতেই পড়ে না।
জেলা বাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ হানিফ বলেন, আমরা স্বল্প পরিসরে যানবাহন চালু করেছি। বিভিন্ন পয়েন্টে আমাদের লোকজন কাজ করছে। অসেচতনতার কারণে যাত্রীরা স্বাস্থ্য সচেতনতা মানছেন না। তাই শারীরিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে কাজ করছি। সরকারের নির্দেশনা মোতাবেক আমরা যাত্রীসেবা দিয়ে থাকব।
অতিরিক্তি ভাড়া আদায়ের বিষয়টি অস্বীকার করে জেলা বাস মালিক সমিতির সভাপতি জসিম উদ্দিন জমসেদ বলেন, সরকার যে ৬০ শতাংশ ভাড়া বর্ধিত করেছে তা মেনেই আমরা ভাড়া রাখছি। স্বাস্থ্যবিধি মেনেই স্বল্পসংখ্যক যাত্রী নিয়ে পরিবহনগুলো বিভিন্ন গন্তব্যে ছেড়ে যাচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১২৫ ঘণ্টা, জুন ০১, ২০২০
আরএ