ঢাকা, সোমবার, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

একই ম্যাজিস্ট্রেটের নমুনা খুলনায় ‘নেগেটিভ’ ঢাকায় ‘পজিটিভ’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪০৩ ঘণ্টা, মে ২৮, ২০২০
একই ম্যাজিস্ট্রেটের নমুনা খুলনায় ‘নেগেটিভ’ ঢাকায় ‘পজিটিভ’ প্রতীকী ছবি

খুলনা: খুলনা জেলা প্রশাসনের একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট (৩০) করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (২৮ মে) দুপুরে ঢাকার একটি হাসপাতালে তার নমুনা পরীক্ষায় করোনা শনাক্ত হয়। তিনি ঢাকায় নিজ বাসায় চিকিৎসা নিচ্ছেন।

খুলনা জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দেবাশীষ বাসক (মিডিয়া সেল) বাংলানিউজকে বলেন, এক সপ্তাহ আগে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট খুলনা মেডিক্যাল কলেজে টেস্ট করান।  তখন ফলাফল নেগেটিভ আসে।

এক সপ্তাহ পরে ঢাকায় টেস্ট করালে ফলাফল পজিটিভ আসে। এই সাতদিন সময়ের মধ্যে তিনি আক্রান্ত হয়ে থাকতে পারেন। তিনি এখন সুস্থ আছেন এবং ঢাকায় নিজ বাসায় চিকিৎসা নিচ্ছেন। তার অবস্থা গুরুতর হলে হাসপাতালে নেওয়া হবে।

এর আগেও খুমেক ল্যাবের নমুনার ফলাফল নেগেটিভ ধরা পড়ার পর রোগীরা ঢাকার পরীক্ষা করিয়ে ফলাফল পজিটিভ পেয়েছেন। সর্বশেষ বুধবার (২৭ মে) সাতক্ষীরায় দুই নারীর ঢাকা আইইডিসিআরে করোনা ধরা পড়ে। তবে দুজনের একই নমুনা প্রথমে খুলনায় পরীক্ষা হলে রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছিল।

জানা যায়, উপজেলার সখীপুর ইউনিয়নের এক গৃহবধূর (৪৫) জ্বর, সর্দি ও কাশি থাকায় করোনা সন্দেহে ১৪ মে নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পিসিআর ল্যাবে পাঠানো হয়। সেখান থেকে ১৭ মে রিপোর্ট আসে নেগেটিভ। কিন্তু ওই নারীর লক্ষণ নিয়ে তখনো সন্দেহ থাকায় সেই নমুনা ঢাকার আইইসিডিআরে পাঠানো হয়। ঢাকা থেকে মোবাইলে খুদে বার্তায় জানানো হয়, ওই গৃহবধূর করোনা পরীক্ষার ফল পজিটিভ।

এছাড়া বল্লী ইউনিয়নের এক কলেজছাত্রের সম্প্রতি করোনা উপসর্গ থাকায় পরীক্ষা করলে পজিটিভ আসে। ওই সময় ছাত্রের মায়ের নমুনা সংগ্রহ করে করোনা পরীক্ষার জন্য খুলনা মেডিক্যাল কলেজ পিসিআর ল্যাবে পাঠানো হয়। সেখানে প্রতিবেদন নেগেটিভ এলে সেই নমুনা আবার পাঠানো হয় ঢাকা আইইডিসিআরে। ঢাকা থেকে খুদে বার্তায় জানানো হয়, ওই নারীর পরীক্ষার ফল পজিটিভ।

একই ব্যক্তির নমুনায় ফলাফল ভিন্ন কেন হচ্ছে এমন প্রশ্নের জবাবে খুলনা মেডিক্যাল কলেজের উপাধ্যক্ষ ডা. মেহেদী নেওয়াজ বলেন, 'খুমেকের ল্যাবে কোনো সমস্যা নেই। বলাই আছে একটি আধুনিক পিসিআর ল্যাবে ৭০ ভাগ ফলাফল সঠিক হয়। ৩০ ভাগ ফলাফল ভুল হতে পারে। এটা হতে পারে নেগেটিভ বা পজিটিভ। নমুনা সংগ্রহের সময় গলায় ভাইরাসের উপস্থিতি কম-বেশি থাকার ওপর নির্ভর করে ফলাফল।

বাংলাদেশ সময়: ১৪০৩ ঘণ্টা, মে ২৮ , ২০২০
এমআরএম/এমএইচএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।