ঢাকা, বুধবার, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ মে ২০২৪, ২৮ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

ঘূর্ণিঝড়ের পূর্বাভাস দিতে কমিউনিটি রেডিওর নিরলস প্রয়াস

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭০৫ ঘণ্টা, মে ২১, ২০২০
ঘূর্ণিঝড়ের পূর্বাভাস দিতে কমিউনিটি রেডিওর নিরলস প্রয়াস ঘূর্ণিঝড়ের পূর্বাভাস দিতে কমিউনিটি রেডিওর নিরলস প্রয়াস।

ঢাকা: বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ‘আম্পান’ মোকাবিলা ও দুর্যোগে ক্ষয়ক্ষতি হ্রাস করার জন্য দেশের উপকূলীয় ৮টি কমিউনিটি রেডিও ও দু’টি অনলাইন রেডিও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ এনজিওস নেটওয়ার্ক ফর রেডিও অ্যান্ড কমিউনিকেশন (বিএনএনআরসি)।

বৃহস্পতিবার (২১ মে) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তারা এ তথ্য জানায়। এতে বলা হয়, রোববার (১৭ মে) থেকে বিরতিহীনভাবে ২৭৪ ঘণ্টা অনুষ্ঠান সম্প্রচার করেছে রেডিওগুলো।

ঘূর্ণিঝড় পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত তাদের এ কার্যক্রম অব্যাহত ছিল।

ঘূর্ণিঝড় পরিস্থিতি মোকাবিলায় নিয়োজিত রেডিও স্টেশনগুলো ছিল কমিউনিটি রেডিও লোকবেতার ৯৯.২ এফএম (বরগুনা), কমিউনিটি রেডিও নলতা ৯৯.২ এফএম (সাতক্ষীরা), কমিউনিটি রেডিও কৃষি ৯৮.৮ এফএম (বরগুনা), কমিউনিটি রেডিও সাগরগিরি ৯৯.২ এফএম (সীতাকু-, চট্টগ্রাম), অনলাইন রেডিও দ্বীপ (সন্দ্বীপ, চট্টগ্রাম), কমিউনিটি রেডিও নাফ ৯৯.২ এফএম (টেকনাফ, কক্সবাজার), কমিউনিটি রেডিও মেঘনা ৯৯.০ এফএম (ভোলা), কমিউনিটি রেডিও সাগরদ্বীপ ৯৯.২ এফএম (হাতিয়া, নোয়াখালী) এবং অনলাইন রেডিও ভৈরব (বাগেরহাট)।

বিএনএনআরসি জানায়, আম্পান মোকাবিলায় নিয়োজিত উপকূলীয় রেডিও স্টেশনগুলো ঘনঘন বিদ্যুৎ চলে যাওয়া, বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া, দুর্বল ইন্টারনেট ও মোবাইল নেটওয়ার্ক, ঝড়ো হাওয়ার কারণে এন্টেনা দুর্বল হয়ে যাওয়া, স্থানীয় যোগাযোগ সমস্যা, কোভিড-১৯ সংক্রান্ত সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখাসহ নানাবিধ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে সম্প্রচার কার্যক্রম পরিচালনা করেছে।

এসময় রেডিও স্টেশনগুলোর দু’জন সার্বক্ষণিকসহ মোট ৫৭ জন সম্প্রচারকারী ও ২৯৮ জন স্বেচ্ছাসেবক দুর্যোগ মোকাবিলায় সরকারি আদেশ (এসওডি) অনুযায়ী নিয়মিতভাবে কাজ করেছে। তারা বাংলাদেশ বেতার সদরদপ্তর, সম্প্রচারভুক্ত এলাকার সব উপজেলার কন্ট্রোল রুম, পানি উন্নয়ন বোর্ড কন্ট্রোল রুম, জেলা প্রশাসকের কন্ট্রোল রুম, ইউনিয়নগুলোর দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য, রেড ক্রিসেন্ট সদস্য, স্কাউট, দুর্যোগ মোকাবিলায় গঠিত কমিটি ও স্থানীয় জনগোষ্ঠীর সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করেছে।

তাছাড়া, দূর্যোগকালে রেডিওগুলো তাদের নির্ধারিত অধিবেশনের বাইরে এসব সতর্কবার্তা ও অনুষ্ঠান প্রচার করেছে বলেও জানিয়েছে বিএনএনআরসি। এসব অনুষ্ঠানের মধ্যে ছিল পাবলিক সার্ভিস অ্যানাউন্সমেন্ট (পিএসএ), ঘূর্ণিঝড় সংক্রান্ত বিশেষ বুলেটিন প্রচার, স্পট, জিঙ্গেল, নাটিকা, সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞদের সাক্ষাৎকার ইত্যাদি। এসব অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ঘূর্ণিঝড় কবলিত জনগণের জানমাল রক্ষার্থে নানাবিধ তথ্য ও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

বিএনএনআরসি জানায়, প্রাকৃতিক দুর্যোগ বিশেষ করে এর আগে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় মহাসেন, রোয়ানো, কোমেন, ফণী ও বুলবুল মোকাবিলায় বাংলাদেশের কমিউনিটি রেডিওগুলো অত্যন্ত প্রশংসনীয় ভূমিকা পালন করেছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন থাকার সময় বাংলাদেশের কমউিনিটি রেডিওগুলো হয়ে ওঠে উপকূলীয় জনগণের ঘূর্ণিঝড়ের পূর্বাভাস ও আগাম তথ্য প্রাপ্তির প্রধান উৎস।

বাংলাদেশ সময়: ১৭০৫ ঘণ্টা, মে ২১, ২০২০
এইচএমএস/এফএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।