করোনাভাইরাসের কারণে মানুষকে ঘরে থাকার নির্দেশনা দিলেও সাধারণ শ্রমজীবী মানুষের এখনো খাদ্যের ব্যবস্থা না করায় ক্ষেতমজুর সমিতির পক্ষ থেকে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়েছে।
শনিবার (২৮ মার্চ) এক বিবৃতিতে ক্ষেতমজুর সমিতির সভাপতি ডা. ফজলুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন রেজা বলেন, করোনাভাইরাস মোকাবিলায় সরকার সব প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে মানুষকে ঘরে থাকার নির্দেশনা দিয়েছে।
‘একদিকে করোনাভাইরাসের আতঙ্ক, অন্যদিকে রুটি-রুজির পথ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ শ্রমজীবী মানুষ এখন অনিশ্চিত জীবনযাপন করছে। কিন্তু সরকার এখন পর্যন্ত শ্রমজীবী মানুষের খাদ্যের ব্যবস্থা করেনি। সরকারকে দায়িত্ব নিয়ে শ্রমজীবী মানুষের খাদ্যের ব্যবস্থা করতে হবে। একইসঙ্গে তাঁদের চিকিৎসারও দায়িত্ব নিতে হবে। ’
নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, ক্ষুধার তাড়নায় কোথাও কোথাও শ্রমজীবী মানুষ করোনার আতঙ্ক ভুলে কাজের খোঁজে রাস্তায় বের হতে বাধ্য হচ্ছেন। কিন্তু বিভিন্ন স্থানে প্রশাসন, পুলিশ মানুষকে লাঞ্ছিত, হয়রানি করছে। ‘ভাত দেয়ার মুরোদ নেই, কিল মারার গোঁসাই’ প্রবাদটিই যেন এখন বাংলাদেশে সত্য হয়ে উঠেছে! এটা কোনোভাবেই মেনে নেয়া যায় না। সরকারকে বলব, লাঞ্ছিত না করে শ্রমজীবী মানুষকে খাদ্য দিন।
নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে সাধারণ মানুষকে লাঞ্ছিত ও হয়রানি করা বন্ধ এবং এসব ঘটনার সঙ্গে যুক্তদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান।
নেতৃবৃন্দ করোনা শনাক্তকরণ ও যথাযথ চিকিৎসা ছাড়াই কারও কারও মৃত্যুর ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে চিকিৎসার ক্ষেত্রে ঢিলেঢালাভাব পরিহার, চিকিৎসক ও নার্সদের সুরক্ষা পোশাক প্রদান, রোগ শনাক্তের উদার ও আন্তরিক ব্যবস্থা গ্রহণসহ চিকিৎসাপ্রাপ্তিকে সহজলভ্য করার দাবি জানান।
বাংলাদেশ সময়: ০৬৫৮ ঘণ্টা, মার্চ ২৯, ২০২০
এসকে/এমআইএইচ/এমএইচএম