ঢাকা, শুক্রবার, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ মে ২০২৪, ০১ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

গাড়ির চাপ বেড়েছে টঙ্গী-আশুলিয়া-ইপিজেড সড়কে

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২২০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১২, ২০২০
গাড়ির চাপ বেড়েছে টঙ্গী-আশুলিয়া-ইপিজেড সড়কে

আশুলিয়া (ঢাকা): মুসলিমদের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় আয়োজন বিশ্ব ইজতেমা। গত কয়েকদিন ধরে টঙ্গীর তুরাগ তীরে ৫৫ তম বিশ্ব ইজতেমা চলার পর রোববার (১২ জানুয়ারি) দুপুরে মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ হয়েছে ইজতেমার প্রথম আসর।

টঙ্গী-আশুলিয়া-ইপিজেড সড়কে যান গত তিন দিন যান চলাচল  স্বাভাবিক থাকলেও রোববার দুপুরে ইজতেমার আখেরি মোনাজাত শেষে সড়কে চাপ বেড়েছে সব ধরনের গাড়ির। সেই সঙ্গে যানজটে আটকে থাকায় পরিবহন সংকটে পড়েছেন হাজারো মানুষ।

 

ফলে ইজতেমা শেষে বাড়ি ফেরা মুসল্লিদের হাঁটতে হচ্ছে মাইলের পর মাইল। আর সাধারণ যাত্রীদের যানজটে বসে থাকতে হচ্ছে ঘণ্টার পর ঘণ্টা।

জানা গেছে, আজ ভোর থেকেই টঙ্গী-আশুলিয়া-ইপিজেড সড়কের বাইপাইল ত্রিমোড়, বেড়িবাঁধ মোড় ও আব্দুল্লাহপুর মোড়ে সম্পূর্ণভাবে যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। এতে যানবাহন না থাকায় মুসল্লিরা হেঁটেই ইজতেমা ময়দানে গেছেন। পরে ইজতেমা শেষে দুপুরে সবকটি সড়ক যান চলাচলের জন্য ছেড়ে দেওয়া হয়। এরপরই বেড়ে যায় গাড়ির চাপ।

আখেরি মোনাজাত শেষে গাড়ি সংকটে অনেকে হেঁটে গন্তব্যে ফিরছেন।  ছবি: বাংলানিউজ ইজতেমা শেষে মুসল্লিদের নিয়ে মানিকগঞ্জ যাবেন বাস চালক রাকিব। তিনি বলেন, ইজতেমা শেষ হওয়ার পর আমাদের গাড়ির যাত্রীদের বাসে তুলে রওনা দেই। কিন্তু যানবাহনের চাপ থাকায় সড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। যেখানে বেড়িবাঁধ থেকে বাইপাইলে আসতে সাধারণ দিনে সময় লাগে এক থেকে দেড় ঘণ্টা সেখানে আজ দুই ঘণ্টা হয়ে গেলে এখনো আশুলিয়ায় ছাড়াতে পারিনি।

কামরুজ্জামান নামে এক লেগুনা যাত্রী বলেন, আমি জামগড়া থেকে বাইপাইল যাবো। খুব কষ্ট করে একটা গাড়ি পেলেও যানজটে আটকে আছে। ইজতেমার মানুষ বাড়ি যাচ্ছেন তাই হইতো এতো গাড়ির চাপ।

আশুলিয়া পুলিশ বক্সের ট্রাফিক ইনর্চাজ মশিউর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, বিশ্ব ইজতেমার জন্য সারাদেশ থেকে মানুষ এসেছে টঙ্গীতে। উত্তর-পশ্চিম ও দক্ষিণের মানুষগুলোকে টঙ্গী-আশুলিয়া-আশুলিয়া ইপিজেড সড়ক দিয়েই ইজতেমা ময়দানে যেতে হয়। তাই ইজতেমা শুরুর আগে কিছুটা গাড়ির চাপ বেড়েছিল আবার ইজতেমা শেষেও গাড়ির চাপ বেড়েছে। তবে শিগগিরই সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়ে যাবে বলে জানান তিনি।

বাংলাদেশ সময়: ১৭১৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১২, ২০২০
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।