ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

এফবিআইয়’র সঙ্গে সমঝোতা স্মারক করতে চায় দুদক

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২১২ ঘণ্টা, নভেম্বর ৫, ২০১৯
এফবিআইয়’র সঙ্গে সমঝোতা স্মারক করতে চায় দুদক

ঢাকা: যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান তদন্ত সংস্থা ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিভেশনের (এফবিআই) সঙ্গে সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই করতে চায় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। যার লক্ষ্যে ইতোমধ্যেই এফবিআইকে চিঠি দিয়েছে দুদক।

মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জাস্টিস ডিপার্টমেন্ট ও স্টেট ডিপার্টমেন্টের প্রতিনিধি দল দুদকের প্রধান কার্যালয়ে সৌজন্য সাক্ষাতে এলে দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ এ তথ্য জানান।  

তিনি বলেন, এই সমঝোতা স্মারক সই হলে পারস্পরিক সহযোগিতার ক্ষেত্র আরও প্রসারিত হবে।

প্রতিনিধি দলের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে এ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, এফবিআইয়ের দক্ষ ও চৌকস কর্মকর্তারা বাংলাদেশে এসে দুদকের কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ দিতে পারেন। এক্ষেত্রে দুদক হয়তো প্রশিক্ষকদের লোকাল হসপিটালিটির ব্যবস্থা করতে পারে। তদন্ত ও প্রসিকিউশনে অভিজ্ঞ রিসোর্স পারসনদের মাধ্যমে কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে চায় কমিশন।

ইকবাল মাহমুদ বলেন, দুর্নীতি একটি গর্ভানেন্স ইস্যু। আমরা সমন্বিতভাবে সরকারি পরিষেবা ব্যবস্থাপনায় উন্নয়নে চেষ্টা করছি। এক্ষেত্রে কমিশন বহুমাত্রিক কার্যক্রম পরিচালনা করছে।

‘মানি লন্ডারিং, সন্ত্রাসে অর্থায়ন, অপরাধীদের গতিবিধি, দুর্নীতির ষড়যন্ত্রকারীদের প্রতিরোধে প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করতে চায় কমিশন। এক্ষেত্রে আপনাদের (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জাস্টিস ডিপার্টমেন্ট ও স্টেট ডিপার্টমেন্ট) সহযোগিতার প্রয়োজন রয়েছে। বিশেষ করে উন্নতমানের ফরেনসিক ল্যাব স্থাপনে আপনারা সহযোগিতা করতে পারেন। ’

প্রতিনিধি দলটি দুদক চেয়ারম্যানের কাছে জানতে চায়- দুদকের ৩০ শতাংশ মামলায় খালাস পাওয়ার কারণ কী? দুর্বল তদন্ত, দুর্বল প্রসিকিউশন নাকি অন্য কিছু? যেটির জবাবে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, আপনার ধারণা হয়তো সবগুলোই সত্য। তবে বর্তমানে কমিশন তদন্ত এবং প্রসিকিউশন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের ব্যাপক প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা নিয়েছে। কমিশনের মামলায় সাজার হার এক সময় মাত্র ২২ শতাংশে নেমে এসেছিল, যা বর্তমানে প্রায় ৭০ শতাংশে উন্নীত হয়েছে।

‘কমিশন প্রায় দুই শতাধিক মানিলন্ডারিং মামলা দায়ের করা হয়েছে। এসব মামলার ১৬ টি মামলায় বিচারিক আদালতে রায় হয়েছে। প্রতিটি মামলায় আসামিদের সাজা হয়েছে,’ যোগ করেন দুদক চেয়ারম্যান।

প্রতিনিধি দলটির আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কমিশন শুধু চুনোপুঁটিদের ধরছে না, রাঘব-বোয়ালদেরও ধরছে। অনেক উচ্চপদস্থ ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। আরও অনেককেই জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। দুর্নীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না। অপরাধীদের আইনের মুখোমুখি হতে হবে।

মার্কিন প্রতিনিধি দলের মধ্যে ছিলেন ইউএস ডিপার্টমেন্ট অব জাস্টিসের রেসিডেন্ট লিগ্যাল অ্যাডভাইসার এরিক ওপাঙ্গা, ইউএস ডিপার্টমেন্ট অব স্টেটের জাস্টিস অ্যাডভাইসার রুশানি মানসুর প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৭১২ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৫, ২০১৯
ডিএন/এসএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad