ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ২০ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

সুন্দরবন-বান্দরবানে প্রশিক্ষণ, নাশকতার উদ্দেশ্যে ঢাকায়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৩৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ১১, ২০১৯
সুন্দরবন-বান্দরবানে প্রশিক্ষণ, নাশকতার উদ্দেশ্যে ঢাকায় ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন

ঢাকা: নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের সদস্যরা সংগঠিত হয়ে বড় ধরনের নাশকতার পরিকল্পনা করছিল। এজন্য সুন্দরবনের করমজল ও বান্দরবানের আলীকদমে প্রশিক্ষণ শেষে তারা পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য ঢাকায় আসেন।

বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) দিনগত রাতে গোপন তথ্যের ভিত্তিতে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকায় অভিযান চালিয়ে আনসার আল ইসলামের চার সদস্যকে আটক করে ডিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট।

আটকরা হলেন- মোহাম্মদ শাহিন ওরফে ওমর, মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, মো. আনিসুজ্জামান ওরফে বিপ্লব ও মো. আল মামুন।



শুক্রবার (১১ অক্টোবর) ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে একথা জানান সিটিটিসির প্রধান মনিরুল ইসলাম।

মনিরুল ইসলাম বলেন, সিটিটিসির একটি টিম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকা থেকে আনসার আল ইসলামের চারজন সক্রিয় সদস্যকে আটক করে। তারা সংগঠনের আদর্শ অনুসারে কথিত হিজরত করে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে সদস্য সংগ্রহ করে।

পরে সদস্যদের নিয়ে সুন্দরবন করমজল এলাকায় একটি প্রশিক্ষণ ক্যাম্পে এক সপ্তাহের প্রশিক্ষণ দেয়। পরে বান্দরবানের আলীকদম এলাকায় প্রায় একমাসব্যাপী প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। পাহাড়ি এলাকায় প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করে তারা সংগঠনের পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নের উদ্দেশ্যে ঢাকায় আসে।

মনিরুল ইসলাম আরও বলেন, নিরাপদে জঙ্গি কার্যক্রম চালানোর জন্য সংগঠনের সদস্যরা পাহাড়ি এলাকায় একটি কফিশপ চালু করেছিল। এছাড়া তারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক মেসেঞ্জারে চ্যাট গ্রুপের মাধ্যমে একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগ করতেন। সেখানেই তাদের বিভিন্ন ধরনের দিক নির্দেশনা দেওয়া হতো।

আটকদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে সিটিটিসি প্রধান আরও জানান, আটকরা জননিরাপত্তা বিপন্ন করার উদ্দেশ্যে প্রজাতন্ত্রের সম্পত্তি ক্ষতির লক্ষ্যে নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডের উদ্দেশ্যে একত্রিত হয়েছিল বলে প্রাথমিক ভাবে জানা যায়।

সেনাবাহিনী থেকে বহিষ্কার হওয়া মেজর জিয়ার সবশেষ অবস্থান সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, মেজর জিয়া বর্তমানে নিষ্ক্রিয় অবস্থায় আছেন। এ সংগঠনের সঙ্গে তার কতটুকু যোগাযোগ রয়েছে বা তিনি কী অবস্থায় আছেন সেটা জানার চেষ্টা চলছে। এটা জানার জন্য এই গ্রুপের শায়েখকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। তবে আমাদের ধারণা তিনি এখন কিছুটা নিষ্ক্রিয়। কারণ তিনি যদি সক্রিয় থাকতেন তাহলে আমাদের ইন্টেলিজেন্সিতে তার বিষয়ে তথ্য উঠে আসতো।

বাংলাদেশ সময়: ১৪২৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ১১, ২০১৯
পিএম/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।