ঢাকা, বুধবার, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ মে ২০২৪, ২৮ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

মিয়ানমারকেই রোহিঙ্গা সংকট সমাধান করতে হবে: মতিয়া চৌধুরী

ইউনিভার্সিটি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০৪৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৭, ২০১৯
মিয়ানমারকেই রোহিঙ্গা সংকট সমাধান করতে হবে: মতিয়া চৌধুরী

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়: আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী বলেন, রোহিঙ্গা সংকট মিয়ানমারেরই তৈরি। এর সমাধানও তাদেরকেই করতে হবে।

বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) নওয়াব নবাব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে ‘রোহিঙ্গা শরণার্থী-বহুমাত্রিক সংকটে বাংলাদেশ’ শীর্ষক এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

অধ্যাপক ড. খন্দকার বজলুল হকের সভাপতিত্বে সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর অধ্যাপক ড. আতিউর রহমান।

এছাড়া বক্তব্য রাখেন- মেজর জেনারেল (অব.) মোহাম্মদ আলী শিকদার, ঢাবি আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক দেলোয়ার হোসেন প্রমুখ।

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক উপ-কমিটির উদ্যোগে আয়োজিত এই সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন স্থপতি ইকবাল হাবিব।

সেমিনারে মতিয়া চৌধুরী বলেন, রোহিঙ্গাদের মনে রাখতে হবে- আশ্রয় এক জিনিস, আর দখল আরেক জিনিস। রোহিঙ্গা সংকট মিয়ানমারের তৈরি। তাদেরকেই এটির সমাধান করতে হবে।  

তিনি বলেন, ২০১৫-১৬ সালের অগ্নিসন্ত্রাসের পর প্রধানমন্ত্রী যখন দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন, সেই উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করতে রোহিঙ্গা সঙ্কট সৃষ্টি করা হয়েছিল। এ দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নকে ব্যাহত করতে সেই ষড়যন্ত্র এখনও অব্যাহত রয়েছে। আমরা এসব মোকাবিলা করেই এগিয়ে যাব।

মিয়ানমারের ওপর আন্তর্জাতিক চাপ অব্যাহত আছে জানিয়ে তাদের পরাজয় হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

ড. আতিউর রহমান বলেন, মানবিকতার পরিপ্রেক্ষিতে রোহিঙ্গাদের স্থান দেওয়া ছিল সঠিক মানবিক সিদ্ধান্ত। কিন্তু এখন তাদের প্রত্যাবসন জরুরি। গত এক বছরে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে প্রায় ৬৫ হাজার শিশু জন্ম নিয়েছে। গত দুই বছরে তাদের পেছনে সরকারের ব্যয় হয়েছে ৭২ হাজার কোটি টাকা।  

‘প্রকৃতপক্ষে এ ব্যয় আরও বেশি। দেশের জীব-বৈচিত্রের ক্ষতি হয়েছে প্রায় ৫০০ কোটি টাকার। বিশ্ব জলবায়ু পরিবর্তনের সবচেয়ে ঝুঁকিতে থাকায় আমাদের ওপর ক্ষতির পরিমাণ আরও বাড়বে,’ যোগ করেন আতিউর রহমান।

বাংলাদেশ সময়: ২০৪৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৬, ২০১৯
এসকেবি/এসএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।