ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১, ০৭ মে ২০২৪, ২৭ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

বিআরডিবিকে ‘বঙ্গবন্ধু পল্লী উন্নয়ন অধিদপ্তর’ করার দাবি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৩৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৬, ২০১৯
বিআরডিবিকে ‘বঙ্গবন্ধু পল্লী উন্নয়ন অধিদপ্তর’ করার দাবি সংবাদ সম্মেলনে বিআরডিবি প্রকল্প কর্মকর্তা-কর্মচারি ঐক্য পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. তৌহিদুল ইসলামসহ অন্যরা। ছবি: শাকিল আহমেদ

ঢাকা: বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ড প্রকল্পকে (বিআরডিবি) ‘বঙ্গবন্ধু পল্লী উন্নয়ন অধিদপ্তর’ করার দাবি জানিয়েছেন এই প্রকল্পের কর্মরত ৮ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারিরা।

একইসঙ্গে শতভাগ বেতন-ভাতা নিশ্চিতের পাশাপাশি তাদের রাজস্বখাতে স্থানান্তর বা আত্মীকরনের মাধ্যমে চাকরি স্থায়ীকরণের দাবি জানান তারা।

সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে বিআরডিবি আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি জানান তারা।

সংবাদ সম্মেলনে বিআরডিবি কর্মকর্তারা জানান, সরকারি প্রকল্পের মাধ্যমে আমরা দীর্ঘদিন ধরে ঋণ বিতরণ করে তৃণমূল পর্যায়ে অনেক অসহায় গরিব মানুষ এখন সাবলম্বী। ঋণের মাধমে গরিব মানুষের ভাগ্য বদল হলেও এ প্রকল্পে কর্মরতদের ভাগ্যের কেনো পরিবর্তন হয়নি। প্রকল্পে নিয়োগ দেওয়ার সময় নিয়োগ পদের প্রোফাইলে বলা হয়েছিল আমাদের রাজস্বখাতে স্থানান্তরের মাধ্যমে আমাদের চাকরি স্থায়ীকরণ করা হবে।

২০০১ সালের পর থেকে আজ পর্যন্ত আমাদের চাকরি স্থায়ীকরণ করা হয়নি। এর বিপরীতে আমাদের কিছু কর্মসূচির মাধ্যমে কার্যক্রম চালানোর জন্য বলা হয়। যেসব ঋণের সুদ হার ২২ শতাংশ। এখন স্থানীয়রা উচ্চ সুদহারে ঋণ নিতে চান না, এসব ঋণের সুদ থেকে আমাদের বেতন সম্পন্ন হয় না। আমরা নতুন কোনো প্রকল্প বা কর্মসূচির পরিবর্তে স্থায়ীকরণের দাবি জানাই।  

বিআরডিবি প্রকল্প কর্মকর্তা-কর্মচারি ঐক্য পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. তৌহিদুল ইসলাম বলেন, বিআরডিবির বাস্তবায়নধীন ১৯৯৭ সালের পূর্ব গৃহীত প্রকল্প প্রায় ৮ হাজার জনবল রয়েছে। যারা মাসের পর মাস বেতন-ভাতা পাচ্ছেন না। এ অবস্থায় বিআরডিবির নাম পরিবর্তন করলে যেমন সচ্ছতা আসবে একইসঙ্গে কাজের গতি ফিরে পাবে। পাশাপাশি দেশের দারিদ্র বিমচনে আরও গুরুত্বপূণ ভূমিকা রাখতে পারবে বিআরডিবি।

তিনি বলেন, আমরা বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ড অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে আসছিলাম। এটা বঙ্গবন্ধুর নিজ হাতে গড়া প্রকল্প। ইতোমধ্যে আমরা ১৫টি প্রকল্পের কাজ শেষ করেছি। আমাদের আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল একটি প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন হওয়ার পর পূর্ণাঙ্গ বেতন ও চাকরি স্থায়ী করা হবে কিন্তু আজও তা করা হয়নি। বরং এর বিপরীতে আমরা প্রায় ২ বছর ধরে কোনো পূর্ণাঙ্গ বেতন-বোনাস পাইনি।

সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয়, আমাদের বেতন-ভাতা ও চাকরিস্থায়ীকরণের জন্য প্রকল্পে আমরা আদালতের আশ্রয় নেই। আদালত মানবিক বিবেচনায় বিআরডিবির রাজস্ব বাজেটের শূন্য পদে স্থানান্তরের নির্দেশ দেন। কিন্তু আদালতের আদেশ মানা হচ্ছে না।

এসময় তিন দফা দাবি পেশ করা হয়। তাদের দাবিগুলো- বিআরডিবি প্রকল্প বা কর্মসূচিতে কর্মরতদের রাজস্বখাতে স্থানান্তর বা আত্মীকরনের মাধ্যমে চাকরি স্থায়ী করা, প্রকল্পের সব কর্মচারির শতভাগ বেতন-ভাতা নিশ্চিত করা এবং কর্মকর্তা-কর্মচারিদের সমন্বয়ে বিআরডিবিকে ‘বঙ্গবন্ধু পল্লী উন্নয়ন অধিদপ্তরে’ রূপান্তর করা।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন যুগ্ম আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম ও শারমিন সুলতানা প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৬, ২০১৯
ইএআর/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।