সোমবার (৮ জুলাই) জাতীয় সংসদে জরুরি জনগুরুত্ব বিষয়ে স্পিকারের মনোযোগ আকর্ষণ করে বিএনপির সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য রুমিন ফারহানা একথা বলেন।
তিনি বলেন, যে মামলায় মৃত ব্যক্তি, পঙ্গু ব্যক্তি, বিদেশে থাকা ব্যক্তি, ঘটনা ঘটবার আগেই মামলা- এ ধরনের অদ্ভুত সব মামলা করা হয়েছে গায়েবি মামলার অধীনে।
রুমিন ফারহানা জানান, ষোড়শ সংশোধনীর রায় বাতিলের কারণে সিনহাকে বিদেশ যেতে হয়েছে। সেই রায়ে তিনি বলেছিলেন, ডুবন্ত বিচার বিভাগ কোনো রকম নাক উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে। তিনি আরও বলেছিলেন, আমিত্বের দম্ভের কথা। তারেক রহমানকে যে নিম্ন আদালত খালাস দিয়েছিলেন। তাকে পরে দেশ ছাড়তে বাধ্য করা হয়। সংবিধানের ১১৫ এবং ১১৬ অনুচ্ছেদের কারণে নিম্ন আদালত এখনো কার্যত সরকারের অধীনে রয়ে গেছে। সেপারেশন অব পাওয়ার বাংলাদেশে এক কেতাবি কথা। অনেক সোনার পাথর বাটির মতো। রাষ্ট্রের একটি অঙ্গ যদি স্বাধীন ও স্বচ্ছভাবে কাজ করতে না পারে। তাহলে তা রাষ্ট্রের জন্য সমূহ বিপদ তৈরি করে।
তিনি আরও বলেন, মিথ্যা, ষড়যন্ত্রমূলক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে খালেদা জিয়াকে কারাগারে আটকে রেখে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে। অথচ মামলার মেরিট, তার বয়স, সামাজিক অবস্থান, জেন্ডার- যে কোনো বিবেচনায় বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী জামিন তার অধিকার। তিনি যাতে সহজে মুক্তি না পান, তাই একটির পর একটি নতুন নতুন মিথ্যা মামলা সামনে আনা হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৭ ঘণ্টা, জুলাই ০৮, ২০১৯
এসই/এএ