সংগঠনটির পক্ষে জানানো হয়, প্রতি বছর আমরা লক্ষ্য করি গার্মেন্টসসহ ব্যক্তিমালিকানাধীন অনেক প্রতিষ্ঠানের শ্রমিকদের ঈদ বোনাস দেওয়া হয়না। অনেক কারখানায় শ্রমিকদের দীর্ঘমাস পর্যন্ত বেতন মজুরি বকেয়া রয়েছে।
মঙ্গলবার (২৮ মে) প্রেসক্লাবের সামনে এক সমাবেশে এ দাবি জানানো হয়। সমাবেশে শ্রমিকদের পক্ষে দাবি তুলে ধরেন শ্রমিক কর্মচারী ঐক্য পরিষদের যুগ্ম সমন্বয়কারী কামরুল আহসান। এসময় স্কপের যুগ্ম সমন্বয়কারী মেসবাহ উদ্দিন আহমেদসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন। সমাবেশ শেষে একটি মিছিল পল্টন মোড় পর্যন্ত প্রদক্ষিণ করে।
কামরুল আহসান বলেন, আগামী ২৫ রমজানের আগে ব্যক্তিমালিকানাসহ সব শিল্প কারখানা শ্রমিক কর্মচারীদের ঈদ বোনাস, বকেয়া মজুরি ও বেতন পরিশোধ করতে হবে। মজুরি ও উৎপাদনশিলতা কমিশনের সুপারিশ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানে দীর্ঘদিন আগে কার্যকর হলেও পাট শিল্পে এখনো কাঠামো হয়নি। ঈদের আগে পাট শিল্পের শ্রমিকদের বকেয়া মজুরি পরিশোধ এবং মজুরি কমিশন বাস্তবায়নের দাবিসহ ন্যায়সঙ্গত দাবি মেনে নেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
আশঙ্কা প্রকাশ করে তিনি বলেন, প্রতিবছরের মতো এবারও বিভিন্ন কারখানায় শ্রমিকরা তাদের বকেয়া বেতন ও বোনাসসহ অন্যান্য পাওনা থেকে বঞ্চিত হবে। আমরা আশা করছি শ্রমিকদের সব পাওনা পরিশোধের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও সরকার যথাযথ উদ্যোগ নেবে। এছাড়া রেশন প্রথা চালু করে সস্তা ও বেধে দেওয়া মূল্যে চাল, ডাল, তেল, চিনিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য শ্রমিক কর্মচারীদের মধ্যে সরবরাহের দাবি জানান তিনি।
কামরুল আহসান বলেন, আমাদের দেশের শ্রমিকরা নানাবিধ বৈষম্য ও নির্যাতনের শিকার। তাদের ন্যায্য মজুরি ট্রেড ইউনিয়ন অধিকার ও কর্মস্থলের নিরাপত্তা আজও প্রতিষ্ঠিত হয়নি। এ অবস্থায় শ্রমিক কর্মচারীদেরকে তাদের উল্লেখিত দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন সংগ্রাম গড়ে তোলার বিকল্প নেই। এজন্য ন্যায্য মজুরি, অবাধ ট্রেড ইউনিয়ন অধিকারসহ সব ন্যায়সংগত দাবিতে ঐক্যবদ্ধ হয়ে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১৬ ঘণ্টা, মে ২৮, ২০১৯
জিসিজি/জেডএস