ঢাকা, শুক্রবার, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ মে ২০২৪, ০১ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

তিন জেলায় ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত ৫ 

বাংলানিউজ টিম | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৪৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৮, ২০১৮
তিন জেলায় ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত ৫  প্রতীকী ছবি

রাজধানী ঢাকার রায়েরবাজার, কক্সবাজারের উখিয়া ও পাবনার আটঘরিয়ায় ‘বন্দুকযুদ্ধে’ পাঁচজন নিহত হয়েছেন। র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, তাদের মধ্যে দুইজন ডাকাত, দুইজন মাদক ব্যবসায়ী ও একজন চরমপন্থি নেতা।

ঢাকা
রায়েরবাজারের বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে র‌্যাব-২ এর সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ডাকাত দলের দুই সদস্য নিহত হয়েছেন।  

সোমবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দিনগত রাত পৌনে ৩টার দিকে এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে।

প্রাথমিকভাবে নিহত দুই ডাকাত সদস্যের পরিচয় জানা যায়নি।

র‌্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের সিনিয়র সহকারী পরিচালক এএসপি মিজানুর রহমান বিষয়টি বাংলানিউজকে নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, দু’পক্ষের গুলিবিনিময়ে ডাকাত দলের দুই সদস্য নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় র‌্যাব-২ এর দুই সদস্য আহত হয়েছেন। এছাড়া ঘটনাস্থল থেকে অস্ত্র, গুলি ও ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক (এসআই) বাচ্চু মিয়া বাংলানিউজকে জানান, সকালে মোহাম্মদপুর থানা পুলিশ ওই দুই ডাকাত সদস্যকে ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ মর্গে রাখা হয়েছে।

কক্সবাজার
মঙ্গলবার (১৮ সেপ্টেম্বর) ভোরে কক্সবাজারের উখিয়ার মরিচ্যা বাজার চেকপোস্ট এলাকায় র‌্যাবের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে দুই মাদক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন।  

নিহতরা হলেন-চট্টগ্রাম জেলার সীতাকুন্ডের মো. শাহ আলমের ছেলে আব্দুস সামাদ ও যশোর অভয়নগরেরর নাজমুল সরদারের ছেলে মো. আবু হানিফ।  

ঘটনাস্থল থেকে ১ লাখ ৩০ হাজার  ইয়াবা, একটি ট্রাক, দুইটি দেশীয় তৈরি অস্ত্র, একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ওয়ানশুটার গান, ৮ রাউন্ড গুলি ও ৮ রাউন্ড খালি খোসা জব্দ করা হয়েছে।   

র‌্যাব-৭ এর কক্সবাজার ক্যাম্প কমান্ডার মেজর মেহেদী হাসান বলেন, মালবাহী ট্রাকে করে ইয়াবার বিশাল চালান আসছে এমন খবর পেয়ে মরিচ্যা চেকপোস্ট এলাকায় তল্লাশি চৌকি বসায় র‌্যাব। র‌্যাবের তল্লাশি চৌকির কাছাকাছি আসামাত্র কক্সবাজারমুখী একটি মালবাহী ট্রাক থেকে র‌্যাবকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। আত্মরক্ষায় র‌্যাবও গুলি চালায়। ট্রাক থেকে গুলি চালানো বন্ধ হলে সেখান থেকে গুলিবিদ্ধ দু’টি মরদেহ পাওয়া যায়।  

তিনি জানান, মরদেহ ও জব্দ করা অস্ত্র উখিয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

পাবনা
পাবনার আটঘরিয়া উপজেলার আতাইকুলা থানার কৈজুরী গ্রামে পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ কুরবান আলী (৩০) নামে এক চরমপন্থি নেতা নিহত হয়েছেন। এসময় আহত হয়েছেন চার পুলিশ সদস্য।

সোমবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দিনগত রাত দেড়টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।  

নিহত কুরবান আলী ওই উপজেলার যাত্রাপুর গ্রামের কিয়াম উদ্দিন ওরফে আদু’র ছেলে।  

তিনি চরমপন্থি সংগঠন নকশাল গ্রুপের নেতা বলে দাবি করেছে পুলিশ।

আতাইকুলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুদ রানা বাংলানিউজকে জানান, আটঘরিয়া উপজেলার লক্ষীপুর ইউনিয়নের কৈজুরী গ্রামের শ্মশানের পাশে একদল দুর্বৃত্ত গোপন বৈঠক করছিল। খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে অভিযানে যায়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে গাড়ি থেকে নামার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে দুর্বৃত্তরা। পুলিশও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি ছোড়ে। প্রায় আধাঘণ্টা পাল্টাপাল্টি গুলি ছোড়ার একপর্যায়ে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। পরে ঘটনাস্থল থেকে কুরবানকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ পাবনা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

ওসি আরও জানান, এ ঘটনায় আতাইকুলা থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মন্টু হোসেন, ফারুক হোসেন, কনস্টেবল আব্দুর রউফ ও শাহিন আলী আহত হয়েছেন। তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। ঘটনাস্থল থেকে একটি রিভলবার, চার রাউন্ড গুলি, দু’টি কার্তুজের খোসা, ২০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট ও একটি মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়েছে।  

পুলিশের দাবি, কুরবানের বিরুদ্ধে আটঘরিয়া ও আতাইকুলা থানায় হত্যা-ডাকাতিসহ বেশকিছু মামলা রয়েছে।  

বাংলাদেশ সময়: ০৯৪৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৮, ২০১৮
এজেডএস/পিএম/টিটি/আরআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।