ঢাকা, শনিবার, ২৮ বৈশাখ ১৪৩১, ১১ মে ২০২৪, ০২ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

বরকলে ১০ টাকার চালে পোকা! 

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০১৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১১, ২০১৮
বরকলে ১০ টাকার চালে পোকা!  ১০ টাকার চালের অধিকাংশই পোকায় খাওয়া। ছবি: বাংলানিউজ

রাঙামাটি: রাঙামাটির বরকল উপজেলার স্বল্প আয়ের মানুষের জন্য খাদ্য মন্ত্রণালয় থেকে ৭৫ মেট্রিক টন চাল সরবরাহ করেছে উপজেলা খাদ্য অফিস। যা অত্যন্ত নিম্নমানের বলে অভিযোগ উঠেছে। 

রোববার (৯ সেপ্টেম্বর) খাদ্যগুদামে এসব চাল রাখা হয় বিক্রির জন্য।

সোমবার (১০ সেপ্টেম্বর) চাল বিক্রির সময় সুবিধাভোগীরা সেই চাল দেখে ডিলারদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন।

 

সুবিধাভোগীরা (সেইসব দরিদ্র জনগোষ্ঠী যারা ১০ টাকার চাল কেনার জন্য তালিকাভুক্ত) অভিযোগ করেন, চালগুলোর অধিকাংশই পোকায় খাওয়া। যা খাওয়ার উপযোগী নয়।  

এসব চাল কিনতে অনীহা প্রকাশ করেছেন তারা। ফলে চালগুলো বর্তমানে গুদামে পড়ে আছে।

উপজেলা খাদ্য অফিস জানায়, উপজেলার পাঁচ ইউনিয়নের সল্প আয়ের মোট এক হাজার ২৯৩ পরিবারের কাছে ১০ টাকা কেজি দরে সর্বোচ্চ ৩০ কেজি করে চাল বিক্রি করা হবে। এর মধ্যে বরকল সদর ইউনিয়নের ১৭৬, সুবলং ইউনিয়নের ৩৭৬, আইমাছড়া ইউনিয়নের ২১৬, ভুষণছড়া ইউনিয়নের ৪১২ ও বড়হরিণা ইউনিয়নের ১১২ পরিবার এ সুবিধা পাবে।  

উপজেলা খাদ্য বান্ধব প্রকল্পের ডিলার মো. তমীর আলী ও বিরোজয় চাকমা বলেন, সরকারের চালে পোকা ধরলেও আমাদের নিতে হয়। আমাদের অভিযোগের কোনো গুরুত্ব নেই খাদ্যগুদাম কর্তৃপক্ষের কাছে। কর্তৃপক্ষ আমাদের যা দেয় তা নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হয়।

উপজেলা খাদ্য প্রকল্পের চাল পরিবহনকারী ঠিকাদার মো. আলমগীর হোসেন জানান, জেলা সদরের খাদ্যগুদাম থেকে চালগুলো উপজেলা খাদ্যগুদামে সরবরাহ করা ছিল তার কাজ। চালের মান যাচাই করা তার কাজ নয়।

উপজেলা খাদ্যগুদামের ওসিএলএসডিও নিশান চাকমা বলেন, সরবরাহকৃত চালের মধ্যে কিছু ভালো কিছু মন্দ রয়েছে। তবে আমি এখনও সব চাল দেখিনি।

নিম্নমানের চালের কথা স্বীকার করে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মন্টু মনি চাকমা জানান, সরকার বিভিন্ন জায়গা থেকে চাল কেনে। এর এর মধ্যে ভালো-মন্দ হয়। এছাড়া কিছু কিছু ক্ষেত্রে প্রশাসনিক জটিলতার কারণেও এ সমস্যা সৃষ্টি হয়। এতে তাদের কিছুই করার নেই।

বাংলাদেশ সময়: ২০০০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১০, ২০১৮
এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।