শুক্রবার (২২ জুন) রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।
‘বাংলাদেশে শান্তিপূর্ণ ও অন্তর্ভূর্ক্তিমূলক সম্প্রদায়ের অনুসরণ: ধর্মীয় নেতাদের ভূমিকা’-শীর্ষক এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বেসরকারি সংস্থা সেভ অ্যান্ড সার্ভ ও বাংলাদেশের জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি)।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী বলেন, বাংলাদেশও দেখেছে, তার সমাজে ধর্মীয় চরমপন্থীরা স্বাধীনতাবিরোধী রাজনৈতিক শক্তির দ্বারা প্রাথমিকভাবে অনুপ্রাণিত হয়েছে। এরা সন্ত্রাস ও হত্যাকাণ্ডের বিভিন্ন ঘটনার মধ্যে দিয়ে শুধুমাত্র আমাদের সমাজ থেকে ধর্মনিরপেক্ষতা এবং ধর্মীয় সহিষ্ণুতার ওপর আঘাত করতে চেয়েছে। এরা ২০১৬ সালে হলি আর্টিজান বেকারিতে সন্ত্রাসী হামলাও ঘটিয়েছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে শেখ হাসিনার সরকার সন্ত্রাসবাদ ও সহিংস চরমপন্থীদের বিরুদ্ধে ব্যাপক পাল্টা ও প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে বলে জানান মাহমুদ আলী।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নীতি অনুযায়ী তার মেয়ে শেখ হাসিনা বাংলাদেশ সমাজে বহু সংস্কৃতি ও ধর্মীয় সহনশীলতা অব্যাহত রেখেছে। ধর্ম বা বিশ্বাসের স্বাধীনতা উন্নয়নে আমাদের সরকারের নীতি হলো ‘ধর্ম যার যার, উৎসব সবার’। বাংলাদেশ এমন একটি দেশ যেখানে ঈদ, পূজা, বুদ্ধ পূর্ণিমা এবং ক্রিসমাস দিবস জাতীয় ছুটির হিসেবে পালন করা হয় বলেও তিনি জানান।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন জাতিসংঘ মহাসচিবের গণহত্যা প্রতিরোধ বিষয়ক বিশেষ উপদেষ্টা আদামা দিয়েং। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়ক মিয়া সেপ্পো।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৭ ঘণ্টা, জুন ২২, ২০১৮
টিআর/এসএইচ