উপজেলার মেরুং ইউনিয়নের পাঁচটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। ছোট মেরুং বাজার ও আশপাশের সড়কে পানি উঠায় খাগড়াছড়ির সঙ্গে রাঙ্গামাটির লংগদু উপজেলার সঙ্গে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।
এছাড়া পানিতে তলিয়েছে হাজাছড়া, সোবাহানপুর, চিটাগাংগ্যাপাড়া ও ছদকছড়া এলাকার বেশকিছু গ্রাম। দীঘিনালা উপজেলার নির্বাহী অফিসার মো. শেখ শহীদুল ইসলাম জানান, এখন পর্যন্ত অন্তত ৪শ’ পরিবার ১৫টি আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান নিয়েছে।
এদিকে বৃষ্টি কমে যাওয়ায় খাগড়াছড়ি সদরের বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। অধিকাংশ এলাকার পানি নেমে গেছে। আশ্রয়কেন্দ্রে থাকা অনেক পরিবার বাড়ি ফিরে গেছে। চলছে ঘর গোছানোর কাজ।
গত সোমবার (১১ জুন) রাত থেকে পাহাড়ি ঢল ও অবিরাম বর্ষণে খাগড়াছড়ি জেলা সদর ও দীঘিনালা, রামগড় উপজেলার বিস্তৃর্ণ এলাকা পানিতে তলিয়ে যায়। চেঙ্গী নদীর দু’কূল উপচে খাগড়াছড়ি শহর, শহরতলী ও আশপাশের অধিকাংশ গ্রাম প্লাবিত হয়। জেলা সদরের মুসলিমপাড়া, গঞ্জপাড়া, শান্তিনগর, বাঙ্গালকাঠি, গোলাবাড়ি, কমলছড়ি, খবংপুড়িয়া, সিঙ্গিনালার কয়েকশ পরিবার পানিবন্দি হয়। খোলা হয় আশ্রয়কেন্দ্র।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৬ ঘণ্টা, ১৪ জুন, ২০১৮
এডি/আরআর