রেলওয়ে টিটি, পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের কাছেও আম আনার বিষয়ে নানা প্রশ্ন করছেন যাত্রীরা। ভিন্ন ভিন্ন প্রয়োজনে সবাই রাজশাহীর উদ্দেশ্যে রওনা দিলেও আম নিয়ে ফিরে আসাই যেন মুখ্য।
বৃহস্পতিবার (৩১ মে) রাজশাহীগামী কপোতাক্ষ এক্সপ্রেসের স্নিগ্ধা বগির ক নম্বর কোচের যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে এমনটিই জানা গেছে।
এ বিগর ৪৯ নম্বর সিটে যাত্রী মো. এ রহমান বলেন, অফিসিয়াল কাজে রাজশাহী যাচ্ছেন। যাওয়ার খবর শুনে সহকর্মীসহ আত্মীয়-স্বজন অনেকে আম আনতে বলেছেন। রাজশাহীর ঐতিহ্যবাহী সুস্বাদু হরেক জাতের আম আনার ইচ্ছাও আছে।
তিনি বলেন, অত্যন্ত সুস্বাদু ও পুষ্টিগুণে ভরা রাজশাহীর আমের দাম তুলনামূলকভাবে কম। এছাড়া খুলনায় আনতেও ট্রেনে তেমন একটা ঝামেলা নেই।
তার মতো অনেক যাত্রীই বাগান থেকে নামানোর পর টাটকা আম নিয়ে ফিরতে চান খুলনায়।
শরিফুল ইসলাম নামের এক যাত্রী বলেন, আমের মৌসুমে আমের রাজ্যে বেড়াতে যাচ্ছি। উদ্দেশ্য ফরমালিনমুক্ত সুস্বাদু আম আনা। তিনি জানান, প্রতি বছরই তিনি আম আনার উদ্দেশ্যে রাজশাহী যান।
রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর হাবিলদার ওহিদ খান বলেন, দূর-দূরান্ত থেকে যারা রাজশাহী-চাপাইনবাবগঞ্জ বেড়াতে যান, তারা ঝুড়ি কিংবা কার্টুন ভর্তি করে আম নিয়ে আসেন। এক্সপ্রেস ট্রেনগুলোতে বেশি আম আনা যায় না। ১০/২০ কেজি আনা যায়। লোকাল ট্রেনে বুকিং দিয়ে যত খুশি তত আনা যায়।
তিনি জানান, খুলনা-রাজশাহী রুটের এক্সপ্রেস ট্রেনে আধুনিক সুযোগ-সুবিধা থাকায় অনেকে আমের মৌসুমে আমের রাজ্যে ঘুরতে ও বেড়াতে যান। বাজারে কৃত্রিমভাবে পাকানো আমের ছড়াছড়ি থাকলেও রাজশাহীতে টাটকা আম মেলে। যে কারণে রাজশাহী গেলেই সবাই আম নিয়ে ফেরেন।
সাগরদাড়ী এক্সপ্রেস ছাড়ার আগে খুলনা রেলওয়ের স্টেশন মাস্টার মানিক চন্দ্র সরকার বাংলানিউজকে বলেন, যারা খুলনা থেকে রাজশাহীতে কিংবা চাপাইনবাবগঞ্জ যান তারা অনেকেই সেখান থেকে আম নিয়ে আসেন। তবে এক্সপ্রেসের চেয়ে মহানন্দা লোকাল ট্রেনে বুকিং দিয়ে আম আনা যায় বেশি।
তিনি জানান, কপোতাক্ষ এক্সপ্রেসটি প্রতিদিন সকাল সাড়ে ৬টায় রাজশাহীর উদ্দ্যেশ্যে ছেড়ে যায়। বেলা ১১টা ১০ মিনিটে যায় মহানন্দা এবং বিকেল ৪টায় সাগরদাড়ী এক্সপ্রেস। প্রতিটি ট্রেনেই আবার রাজশাহী থেকে খুলনায় ফিরে আসে।
বাংলাদেশ সময়: ০৭০৮ ঘণ্টা, মে ৩১, ২০১৮
এমআরএম/ওএইচ/