ঢাকা শহরকে পাঁচটি অঞ্চলে বিভক্ত করে সেলভিত্তিক তাদের জঙ্গিবাদী কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিলেন তারা। ছোট ছোট গ্রুপে বিভক্ত হয়ে দলের কর্মী সংগ্রহসহ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় নাশকতার পরিকল্পনাও ছিল তাদের।
বৃহস্পতিবার (২৪ মে) ভোরে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী, মুগদা ও বাড্ডা এলাকায় অভিযান চালিয়ে মহিবুর ও এরশাদুলসহ আনসার আল ইসলামের ৭ সদস্যকে আটক করেন র্যাব-৩ সদস্যরা।
আটক অন্য সদস্যরা হলেন- কামাল উদ্দিন, সিফাত, দিদারুল ইসলাম, রিফাতুল্লাহ সাব্বি খান ও শীতল মিয়া। এসময় তাদের কাছ থেকে বোমা তৈরির বিপুল পরিমাণ সরঞ্জাম, দেশীয় অস্ত্র ও জিহাদি বই উদ্ধার করা হয়।
বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর কারওয়ানবাজারে র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে একথা জানান র্যাব-৩ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল এমরানুল হাসান।
তিনি বলেন, মহিবুর ও এরশাদুল এই গ্রুপের মূল মাস্টারমাইন্ড। মহিবুর শিক্ষকতার আড়ালে দাওয়াতি কার্যক্রম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের বিভিন্ন বিতর্কিত পেজ পরিচালনা করতেন। এরশাদুল বিভিন্ন সময় বিতর্কিত ভিডিও শেয়ারের মাধ্যমে কর্মীদের জিহাদে উদ্বুদ্ধ করতেন। তারা দু’জনেই সংগঠনের অন্যতম অর্থদাতা ছিলেন।
কামাল ও সিফাত ভবন বিধ্বংসী শক্তিশালী বোমা তৈরিতে পারদর্শী। দিদারুল ও রিফাতুল্লাহ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার আঞ্চলিক সমন্বয়ক হিসেবে কাজ করছিলেন।
শীতল মিয়া সংগঠনের সক্রিয় একজন সদস্য এবং জালটাকা তৈরিতে পারদর্শী। জাল টাকা তৈরি করে জঙ্গিবাদে বিনিয়োগ করার চিন্তা ছিল তার।
র্যাব-৩ অধিনায়ক বলেন, ঢাকাকে পাঁচটি অঞ্চলে বিভক্ত করে সেলভিত্তিক কার্যক্রম পরিচালনা করছিল তারা। এজন্য বাড্ডা, মুগদা ও যাত্রাবাড়ী এলাকায় মিলিত হয়ে তারা প্রায়ই বৈঠক করতো।
এই জঙ্গি সংগঠনটি মূলত টার্গেট কিলিংয়ে জড়িত। আটকদের মধ্যে ইতোপূর্বে কোনো এমন ঘটনায় জড়িত ছিল কিনা জিজ্ঞাসাবাদের পর নিশ্চিত হওয়া যাবে বলেও জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২৭ ঘণ্টা, মে ২৪, ২০১৮
পিএম/এএ