এসময় মরদেহের পাশ থেকে এক হাজার ইয়াবা ও একটি এলজি এবং ২ রাউন্ড কার্তুজ ও একটি খোসা উদ্ধার করা হয়।
নিহত হাসান কক্সবাজার সদর উপজেলার ঝিলংজা ইউনিয়নের পশ্চিম লারপাড়ার মৃত খুইল্ল্যা মিয়ার ছেলে।
নিহতের স্ত্রী আমেনা খাতুন বাংলানিউজকে বলেন, সেদিন রাতে আমরা সবাই সেহেরি খেতে বসেছিলাম। এমন সময় সাদা পোশাকধারী তিন যুবক প্রশাসনের পরিচয় দিয়ে ঘরে প্রবেশ করে। ওই সময় বাইরেও তিনজন দাঁড়িয়ে ছিলেন। তারা আমার স্বামীকে তুলে নিয়ে গেট বন্ধ করে দেয়। পেছন পেছন আমি দৌঁড়ে গেলে আমাকে গুলি করবে বলেও হুমকি দেয় তারা। পরে মাইক্রোবাসে করে তাকে নিয়ে শহরের দিকে চলে যায়। এরপর আমরা সদর থানা, জেলা গোয়েন্দা কার্যালয় ও র্যাব -৭ কক্সবাজার কার্যালয়ে গিয়ে তার খোঁজ করি। কিন্তু কোথাও খোঁজ মেলেনি। পরে হাসপাতাল মর্গে আমার স্বামীর মরদেহ রয়েছে বলে খবর পাই।
নিহতের বড়ভাই শহর মুল্লুক বলেন, আমার ভাইয়ের বিরুদ্ধে কোনো মামলা নেই।
নিহতের স্ত্রীর বড় ভাই সাইদুল ইসলাম বাবুল বলেন, হাসানকে তুলে নিয়ে যাওয়ার পর আমরা লিখিত অভিযোগ নিয়ে কক্সবাজার সদর থানায় গিয়েছিলাম। কিন্তু কক্সবাজার সদর থানার ওসি অভিযোগটি নেননি।
তবে কক্সবাজার সদর থানার ওসি ফরিদ উদ্দিন খন্দকার বলেন, বৃহস্পতিবার ভোরে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে আমরা ধারণা করছি, মাদকের আন্তঃকোন্দলের জেরে প্রতিপক্ষের হাতে তিনি খুন হয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, নিহতের বিরুদ্ধে কক্সবাজার সদর থানায় দ্রুত বিচার আইনে ও ইয়াবার মামলা রয়েছে। এছাড়া তার বিরুদ্ধে চট্টগ্রামেও একটি ইয়াবা মামলা রয়েছে বলে জানতে পেরেছি। তবে বিষয়টি আমি নিশ্চিত নই।
ওসি আরও বলেন, নিহতের পরিবার বুধবার একটি লিখিত অভিযোগ নিয়ে এসেছিলেন। আমরা সেটি গ্রহণ করেছি।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৩ ঘণ্টা, মে ২৪, ২০১৮
টিটি/আরআর