গত সোমবার (২১ মে) ঢাকায় ইবিএল'র একটি এটিএম বুথ থেকে তাহিদুল ইসলামের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
এ ঘটনায় মঙ্গলবার (২২ মে) দিনগত রাতে খুলনার সোনাডাঙ্গা এলাকা থেকে রাসেল শেখকে গ্রেফতার করে র্যাব-১।
বুধবার (২৩ মে) দুপুরে কারওয়ানবাজারে র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে একথা জানান র্যাব-১ এর কোম্পানি কমান্ডার মেজর মনজুর মেহেদী ইসলাম।
তিনি বলেন, গত বছরের জুলাইতে বাগেরহাটের একটি নৌকাবাইচ অনুষ্ঠান দেখতে যান ভিকটিম তাহিদুল এবং আসামি রাসেল। এসময় অসাবধানতাবশত রাসেলের সাইকেল তাহিদুলের গায়ে লেগে যায় এবং তাদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। এর জেরে নৌকাবাইচ থেকে ফেরার পথে রাসেলকে মারধর করেন তাহিদুল।
তাহিদুল গত ১ মে থেকে 'গ্লোব সিকিউরিটি সার্ভিস' নামে একটি নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠানের অধীনে ইবিএল বুথে নিরাপত্তাকর্মীর কাজ শুরু করেন। গত এপ্রিল থেকে রাসেলও গ্লোব সিকিউরিটি সার্ভিসে চাকরিরত ছিলেন। পরে গত ৯ মে আইকন ফর সিকিউরিটি সার্ভিসে রিক্রুটিং এজেন্ট হিসেবে কাজ শুরু করেন।
ঘটনার দিনের বিবরণে মেজর মনজুর বলেন, ২০ মে রাতে তাহিদুল ওই বুথে নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছিলেন। রাসেল ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় লোক নিয়োগের পোস্টারিং করতেন। তারপর রাতে ইবিএল'র ওই বুথে গিয়ে তাহিদুলকে দেখে রাসেল ক্ষিপ্ত হন। ভিকটিম তাহিদুলকে গতবছরের কথা মনে করিয়ে দিলে তাদের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় হয়।
এরপর তাদের মধ্যে হাতাহাতির এক পর্যায়ে ভোর আনুমানিক ৪টার দিকে রাসেল ছুরি দিয়ে তাহিদুলের গলায় জখম করেন। তাহিদুলের মৃত্যু নিশ্চিত হওয়ার পর এটিএম বুথের লাইট বন্ধ করে ছুরিটি পার্শ্ববর্তী ড্রেনে ফেলে দেন এবং খুলনায় পালিয়ে যান।
রাসেল ছুরি কোথায় পেয়েছিল এমন প্রশ্নের জবাবে মেজর মনজুর জানান, এটিএম বুথের নিরাপত্তাকর্মীরা যেহেতু বুথেই থাকতো, সেহেতু বিভিন্ন কাটাকাটির কাজে ব্যবহারের জন্য ছুরিটি সম্ভবতো সেখানেই ছিল।
এটিএম বুথের নিরাপত্তাকর্মী খুনের প্রধান আসামি গ্রেফতার
বাংলাদেশ সময়: ১৫১০ ঘণ্টা, মে ২৩, ২০১৮
পিএম/এএ